পর্ব- দুই
ক.
এক বন্ধু `ও` পজিটিভ রক্তের জন্য অনুরোধ পাঠিয়ে ইনবক্সে একটা টেক্সট করল- যদি রক্ত পাওয়া যায় তবে ম্যাসেজে উল্লেখিত তিনটি নাম্বারের ফোন করে জানাতে বলল। নাম্বারগুলো যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং সিরিয়ার।
এক বন্ধু `ও` পজিটিভ রক্তের জন্য অনুরোধ পাঠিয়ে ইনবক্সে একটা টেক্সট করল- যদি রক্ত পাওয়া যায় তবে ম্যাসেজে উল্লেখিত তিনটি নাম্বারের ফোন করে জানাতে বলল। নাম্বারগুলো যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং সিরিয়ার।
বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম-
-রোগী কোন দেশের?
-জানি না
-তোমাকে ম্যাসেজটা কে পাঠিয়েছে?
-কোন এক ফেসবুক ফ্রেন্ড
-নাম্বার তিনটা কোন দেশের একটু দেখেছ?
-না তো।কোন দেশের?
-রোগী কোন দেশের?
-জানি না
-তোমাকে ম্যাসেজটা কে পাঠিয়েছে?
-কোন এক ফেসবুক ফ্রেন্ড
-নাম্বার তিনটা কোন দেশের একটু দেখেছ?
-না তো।কোন দেশের?
দেশগুলোর নাম শুনে সে বোকা বনে গেল। সে খেয়ালই করেনি রোগী কোন দেশের আর রক্তদাতাই বা কোন দেশের।
খ.
ইদানিং অনেকেই ইনবক্সে একটি ম্যাসেজ পেয়ে থাকতে পারেন যে, কোন এক লোকের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট রিসিভ না করার জন্য। সে নাকি হ্যাকার।
ইদানিং অনেকেই ইনবক্সে একটি ম্যাসেজ পেয়ে থাকতে পারেন যে, কোন এক লোকের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট রিসিভ না করার জন্য। সে নাকি হ্যাকার।
আমাকে এমন একজন লোক এই ম্যাসেজটি ফরোয়ার্ড করলেন যার কখনো এটা আমাকে পাঠানোর কথা নয়।
পরে বুঝলাম এই ম্যাসেজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে `স্প্যাম` হিসেবে এসেছে।
পরে বুঝলাম এই ম্যাসেজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে `স্প্যাম` হিসেবে এসেছে।
এই ধরণের ম্যাসেজগুলোর নানা উদ্দেশ্য থাকতে পারে যা সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। হ্যাকার নিজেই এসব ম্যাসেজ ছড়িয়ে দিয়ে কোনো ফায়দা লুটতে পারে।
গ.
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাত সকালে একটা একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে Good Morning জানালেন। একটু অবাকই হলাম। কারণ আমাদের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক এবং তার ব্যক্তিত্বের সাথে বিষয়টি যায় না। এরপর প্রতিদিন এটা তার কাছ থেকে আমার ইনবক্সে আসতে থাকল।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাত সকালে একটা একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে Good Morning জানালেন। একটু অবাকই হলাম। কারণ আমাদের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক এবং তার ব্যক্তিত্বের সাথে বিষয়টি যায় না। এরপর প্রতিদিন এটা তার কাছ থেকে আমার ইনবক্সে আসতে থাকল।
আমি যা বুঝার বুঝে গেলাম। তাই ভুলেও তার সেই লিঙ্কে ক্লিক করলাম না।
ঘ.
ধর্মীয় বিষয়ে বা মানবিক বিষয়ের অনেক ধরণের ম্যাসেজ ইনবক্সে আসে যা ১০ জন কিংবা ২০ জনকে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয় এবং ফজিলতও বলে দেয়া হয়। সুসংসবাদের লোভও দেখানো হয়।
ধর্মীয় বিষয়ে বা মানবিক বিষয়ের অনেক ধরণের ম্যাসেজ ইনবক্সে আসে যা ১০ জন কিংবা ২০ জনকে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয় এবং ফজিলতও বলে দেয়া হয়। সুসংসবাদের লোভও দেখানো হয়।
ভুলেও কখনো এসবে ক্লিক করিনি। এসব ছেলেমানুষি আমার ভালো লাগে না, কিংবা আস্থা পাই না।
মানুষের আবেগ, দুর্বলতা, মানবিকবোধ এবং স্বাভাবিক প্রবণতার উপর ভিত্তি করে কিছু খারাপ লোক এসব কাজ করে থাকে। উদ্দেশ্য খারাপও হতে পারে, মজা করার জন্যও হতে পারে, আবার বাজে উদ্দেশ্য নিয়েও হতে পারে। তাই সাবধান থাকাই ভালো। ফেসবুকসহ অনলাইন ভিত্তিক নানা জিনিস ডাউনলোড এবং আকর্ষণীয় লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করার আগেও একটু বুঝেশুনে করা উচিৎ। কেননা, প্রকৃতির কীটপতঙ্গ থেকেও খারাপ ভাইরাস এখন অনলাইনে বাস করে।
ফিশিং/হ্যাকিং/প্রতারণার নানা ফন্দিতে কোন একজন ধরা খেলেই বোকামীর দণ্ড দিতে হয় তার হাজারও কাছের মানুষদের। তাই না বুঝে কোনো ম্যাসেজ ফরোয়ার্ড কিংবা ইনবক্সের কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা মানেই অনেক মানুষকে ইনবক্সের ফাঁদে ফেলা দেয়া।
তাই অসচেতন এবং অনভিজ্ঞ বন্ধুর কাছ থেকে আসা ইনবক্সের ম্যাসেজগুলো থেকে সাবধান থাকাটা খুব জরুরি। আর বিজ্ঞ বন্ধু হলেও জিজ্ঞাসা করেই ক্লিক করা উচিত। বলা তো যায় না কে কাকে গিনিপিগ বানিয়ে আপনার গোপনীয়তায় প্রবেশ করতে চাচ্ছে, কিংবা হ্যাক করতে চাচ্ছে।
লেখক : অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, ডিএমপি
Comments
Post a Comment