চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন কার্যক্রমে সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। শনিবার ডিএনসিসি ভবনের সামনে থেকে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত এক র্যালির শুরুতে এ কথা জানান তিনি।
মেয়র বলেন, চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশা মারতে যা যা করার আমরা করছি, করবো। আশা করছি অতি অল্প সময়ে মধ্যে চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আমরা সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছি।
আনিসুল হক আরো বলেন, আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা দিনে এরকম বৃহৎ পরিসরে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলবে। মশক নিধন কার্যক্রমে কেউ অবহেলা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে ৫ দিন পর পর মশা নিধনের ওষুধ প্রয়োগের কথা, সেখানে আমরা তিন দিন পর পর প্রয়োগ করছি।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সমস্ত রাস্তার লিস্ট করেছি। মশক নিধন কর্মীরা সে অনুযায়ী কাজ করবে। আর এলাকার মানুষ যদি মশক নিধন কর্মীদের দিয়ে আশানুরূপ ফল না পায় তাহলে সেসব মশক নিধনকর্মীকে বেতন দেওয়া হবে না। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে এই চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সার্বিক কার্যক্রম চালবো। এজন্য জনগণকে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে।
এদিকে, গতকালের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মেয়র আনিসুল বলেন, গতকাল একজন সাংবাদিক বন্ধু একটি প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা মশারি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করছি কি না? আমি আমাদের সচেতনতামূলক পোস্টারে মশারির ছবি দেখিয়ে ওই কথা বলেছিলাম। কিন্তু যেভাবে বলেছি, তা ঠিকভাবে বলতে পারিনি হতে পারে।
মেয়র বলেন, আমরা বলতে চেয়েছি যে বাড়ির ভেতরে ঢোকার অধিকার আমাদের সেভাবে নেই। আমার বক্তব্যের জন্য কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য দুঃখিত। আমরা আমাদের সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে আবার নেমেছি। আমরা অনেক চেষ্টা করছি।
র্যালিতে ডিএনসিসির কর্মকতা-কর্মচারী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক বলেছিলেন, চিকুনগুনিয়া মহামারি হোক আর যা-ই হোক, এর জন্য কোনোভাবেই সিটি করপোরেশন দায়ী নয়। আর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মশা মারা তাদের পক্ষে সম্ভব না।
Comments
Post a Comment