Skip to main content

তক্তা সালেম



আজ অনেক দিন হয়ে গেছে। লম্বা কতোগুলো বছর। রফিকের সব কথা আর ঠিকঠাক মনে নেই। চাইলেও সব বলতে পারবে না সে। নানারকম বিশ্বাস আবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বাস হয়ে কি ভাবে মানুষের মনটার উপর স্থিতি নেয় রফিক আজও তা নির্ণয় করতে পারেনি। সারা জীবনেও পারবে বলে আশা করে না সে। অথচ এর বাস্তবতা প্রমাণে মিলবে না। তা সে জানে। মনে হয় এটাই যেন সত্য, আছে, আছে, কিছুত আছেই। আজ এসবে বিশ্বাস করতে মন চায় না রফিকের, তবু যেন তার মনে হয় আছে; কি জানি কেন?
রফিকরা চার চাচাতো ফুফুতো ভাই ছোট ফুফুর বাড়িতে বেড়াচ্ছিল।সারাদিন হৈ হৈ, সকালে ফুটবল খেলা, দুপুরে ডাঙ্গুলি, তারপর সাঁতার। এর মধ্যে দুই একবার এটা সেটা খাওয়ার জন্য ফুফুর ডাক। দুই দিনের মাথায় একদিন রাতের খাবার খেতে বসেছে সবাই। সংগে ফুফুর দুই ছেলে, ফুফাতো ভাই আর বোনেরা। রান্না হয়েছে পাঙাস মাছের ঝোল, ছোট ট্যাঙরা আর মুশুরের ডাল। প্রামে মুশুরের ডাল সংগতিসম্পন্ন গেরস্তের ঘরের রান্না। সাধারণ ঘরে কলাইর ডাল। রফিক, সাদেক, রতন আর ফয়েজ সবাই প্রায় কৈশর পেরুন। এ বয়সে উদ্যমের শেষ নেই, পুকুরে, নদীতে গোছলের নামে ডুব খেলা, একডুবে গভীর জলতল থেকে মাটি তুলে আনা, শিরীষগাছ থেকে খালে লাফিয়ে পড়া, এই শিরীষগাছটা ছিল অনেক পুরানো। তার একটা ডাল খালের উপর ছড়িয়ে ছিল। আর গাছটা ঝড়ে কাত হয়েছিল। সোজা হেঁটে ওঠা যেত। আর তারা সেই গাছে চড়ে ডাল থেকে ভরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ত। খালের তলদেশ ছুঁইয়ে উঠত। তার পর চোখ যখন লাল হয়ে যেত তখন সবার বড় রতন বলত খ্যামা দে। চল ফুফু রাগ করবে। রেফারীর কাজ। তারা গায়ে কোনরকম দু’একটা ঘষা দিয়ে তারপর ডুব দিয়ে উঠে পড়ত, এবং খাবারের মাদুরে বসে যেত কোনো রকম কাপড়গুলো বাইরে রোদে টাঙিয়ে। ওদের জিহ্বা উঁচিয়ে থাকত, আর ফুফু একটা একটা মাছের টুকরা বাছা্ই করে পাতে দিত। তখন ওরা চোখ রাখত এজন আর একজনের পাতে এবং ভাবত আহা ফুফু যদি ওই টুকরাটা আমায় দিত। কখনও পেয়েও যেত কখনও অন্যের পাতে পড়ত, নিজেরটা খেয়ে একটু বসে থাকত যদি আর একটা দেয়। বেশি থাকলে দিত। নইলে একচামচ ঝোল তো পাওয়াই যেত। ডালটা মজার। মুশুরের ডাল, লম্বাজ্বালে বাগার দেয়া, তার মধ্যে জিরে যেন অমৃত। পেটপুরে খেত সবাই। আসলে ওরা ছোট ফুফুর বাড়ি বেশি বেশি আসত ভালো খাবারের লোভে।
সেদিন রাতের খাবারটা খেতে একটু দেরি হয়ে ছিল কি এক কারণে। ফুফাও এসে গেছেন। রেডিওতে বিবিসি এবং তারপর ভোয়া শুনছেন। তখন টেলিভিশন ছিল না। রেডিও ছিল দু’একটা তাও সংগতি সম্পন্ন গেরস্তের ঘরে, ঘরে ঘরে ছিল নিয়মিত সন্ধ্যা, কোথাও দাদী নানীর গল্প। ওরা সবাই খাচ্ছিল। আজ পাঙাশের পেটের টুকরাটা রফিকের পাতে পড়েছে। তখন নদীর পাঙাশই ছিল। আর তা সুস্বাদু। মুখে ছিল অফূরন্ত স্বাদ, আজকের পুকুরের পাঙাশে তা নেই। মাছটা বড়ই ছিল।
এমন সময় পিছনের পাকঘরের দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো তক্তা সালেম। ওরা সবাই তাকে মেঝভাই ডাকে। কেন মেঝভাই, তা জানে না। ওবাড়ির সবাই ডাকে...তাই। হয়ত তার আগে কোনো ভাই ছিল। তার গায়ে, হাতে, পায়ে কাদা লেপ্টে আছে। তার জামাটাও ছিঁড়া। খালি পা, সে তার বৌকে বললো আমার কাপড় আনো গোছল করতে যাব।টর্চ্টাও হারাইছি। হারামজাদার গায় ব্যাশ জোর।
সবাইতো থ’ ফুফা যেন কি বলতে চাইছিল, কিন্তু ফুফু মুখ তুলে উঁ করতেই থেমে গেলেন।
সবার মুখের গ্রাস থেমে থাকলো না, কারণ লোভ তো কিছুতে স্তব্ধ হয় না। আর বিষয়ের গুরুত্বও ওরা তেমন বুঝিনি। ওরা খাচ্ছে।
ফুফু তক্তা সালেম কে বললো তুই বাইরে দাঁড়া, কোথাও যাবি না যেন। পুকুরে যাওয়া যাবে না, খবরদার, দাঁড়া।
তক্তা দরজার কাঠের চৌকির উপর দাঁড়াল। আর ফুফু চুলা জ্বালিয়ে তাতে দাও পোড়া দিলেন এবং এক ডেকচি পানি বসালেন। তাতে ছিল, রসুন আর চামচ খানিক লবন তার পর গরম টকটকে দা’টা পানিতে চুবিয়ে সেই পানির সাথে ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে বউকে বললেন ওকে দাও; ও গোছল করুক। কারো খাওয়ায় বিরতি নেই, তবে পূর্ণ্ তৃপ্তি হল না। সালেমউদ্দিন খেতে বসলো, কিন্তু ফুফু তাকে মাছ খেতে দিলেন না, কেবল ডাল দিয়ে বেচারা খেলো। সবাই দাঁড়িয়ে আছে।
তোরা এখন ঘুমাতে যা, একবার দরুদ পড়িস, আর তিন বার সূরা আহাদ।
আহাদ! আহাদ মানে কুলহু আল্লাহ, ফুফু বললেন হ’।
ওরা চলে এল।
কি হতে পারে, এই নিয়ে একটু গুঞ্জরণ। ফুফাতো ভাই ছোট ফুফুর ছেলে ফয়েজ বললো: মনে হয় মেঝভাইকে ভুতে ধরেছিল। ওই যে তেতুলগাছ, ওখান দিয়া কেউ আগুন ছাড়া রাইত ১১টায় হাঁটে না। মেঝ ভাই তো সেইখান দিয়াই আইছে।
পরদিন সকালের নাস্তায় মুখরোচক এই গল্প চলতে থাকলো। ফুফু বললেন তোর আক্কেলটা কি, এতো রাইত করলি ক্যান?
কি করুম, দেরি হইয়া গেল, মেঝ ভাইর নিরাসক্ত জবাব। তারপর সে ঘটনাটা বলতে শুরু করল। এমনি তে সে কম কথা বলে। ঘটনাটা এমন যে সে কাল যখন তেতুল গাছটার কাছে আসছে তখন রাত কাটায় কাটায় ১১টা। যেই সে তেতুল গাছটা ক্রস করছে তখন কে যেন তাকে এক ঘুষি বসিয়ে দিলো। মেঝভাইও তো কম নয়, না দেখে না শুনে সেও অন্ধকারে ঘুষি বসিয়ে দিলো আর অনুমান করল ঘুষিটা অদৃশ্যের নাকের ডগা ফাটিয়ে দিয়েছে। তার হাতে ভিজা কিছু লাগল। সে অনুমান করল নিশ্চয়ই রক্ত। কিন্তু তারপর সে তাকে ঝাপটে ধরল এবং দু’জনে ঝাপটা ঝাপটি করতে করতে রাস্তা থেকে নিচের ঢালে কচু গাছের জঙ্গলে গড়াগড়ি খেল।
মেঝভাই বলছিল আমার সংগে পারবে ক্যান, বেডারে এমন যাতা দিছি, দুই চার ছয়মাস লাগবে তেতুল গাছে আবার বসতে।
ওদের গায়ের পশম খাড়া হয়ে গেলো। ভয়ও করল। কিন্তু সে নির্বিকার। যেন সে ভুতের চাইতেও শক্তিশালী। আর ভুতও দমন হয়েছে। এখন তেতুল গাছ তলাদিয়ে মানুষ আন্ধার রাতের ১১টার পরও চলতে পারবে। কিন্তু ফুফু কিছুই বললেন না। কেবল বললেন: তোর ভালই হবে যেহেতু তুই জিতেছ। হয়তো সুসংবাদও আছে।
মেঝভাই তার মুখের দিকে তাকাল। তারপর নাস্তা খেতে শুরু করল।
মেঝভাই আর মেঝভাইর বউ ঘুমাত বাইরের ঘর থেকে আর একটা স্বতন্ত্র ঘরে সেদিন যখন একটু বেলা হলো, তখনও মেঝ ভাই ঘুমাচ্ছেন এমনই সবাই জানে। আর তার বউ যখন তার ঘরে প্রবেশ করল তখন দরজা বন্ধ হয়ে গেল। ঘন্টা দেড়েক পরে মেঝভাই বেরুল আর তার বউ কাপড়চোপড় নিয়ে চলে গেলেন পিছনের পুকুরে। ফুফু খেয়াল করে দেখল সব। আমরাও কিছুটা, উঠানে ডাঙ্গুলি খেলতে খেলতে। ভা্বতেই কেমন যেনো শরীরটা পুলকিত হলো।
কেবল শুনলাম ফুফু বিড়বিড় করে বলছে, এবারে ফাঁড়া কাইটা গেছে। ওইটা ঠকজে, ও এহন মুক্ত। আমার নাতি আসবে। এই সংলাপের সবটুকু ওরা বুঝেনি, তবু বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল খানিকটা। রহস্য খানিকটা থেকেই গেল।
সালেমউদ্দিন তার নাম। কিন্তু সবাই চেনে তক্তা সালেম এই নামে। নামটা বেশ ছড়িয়েছে। ছোট বড় সবাই জানে। কারণটা রফিকরাও জানে আর তা হলো সালেমউদ্দিন মানে ওদের মেঝ ভাইয়ের শরীরে অনেক শক্তি। সে বল খেলতো। ওই অঞ্চলে সে একালের ম্যারাডোনা না হোক ভালো খেলোয়ার ছিল। তার পায়ে ছিল অসম্ভব জোর, বল কিক করলে তক্তা ফাটার মতো শব্দ করত। একবার নাকি এরকম গোল কিক করতে গেলে পুরো বলটা তক্তা ফাটার মতো শব্দে ফেঁটে যায় এবং একটা টুকরা গোলের মধ্যে ঢুকে যায়। রেফারী তো দেখেছে বল ঢুকেছে, কিন্তু ঢুকেছে বলের টুকরা। গোল ঘোষণা হয়ে গেল, তাই নিয়ে বচসা, শেষে কমিটির লোকেরা সিদ্ধান্ত দিয়ে উত্তেজনা কমিয়েছিল। সেই মেঝ ভাই ছিল শান্ত প্রকৃতির মানুষ, প্রায় ছয়ফুট লম্বা, চাওড়া ছাতি, হাত পা লম্বা, আর বাহুতে অসীম বল। আমরা তাকে হারকুলিস বলতাম। তখন কেবল হারকুলিসের গল্প পড়ছি। মেঝ ভাই, বাজারে ইজারা তুলত। ফিরতো রাত ১১টায়। এর বিপরীত হয়নি কোনো দিন। সেই ভুতের লড়াইয়ের পরও না। ছয়ভাই কিন্তু পরের দিন টর্চ্ খুঁজতে গিয়ে দেখি কয়টা কচুগাছ কাঁথ হয়ে আছে, কাদায় লেপ্টালেপ্টির মতো না, তবু তাই বিশ্বাস করলাম।আর ভুত প্রেত তো কোনো চিহ্ন রাখেনা, যা যেমন ছিল তেমনই থাকে। টর্চ্টা পাওয়া গেলো না। পাঁচ বেটারী এভারেডি, হয়তো সকালে কেউ পেয়ে নিয়ে গেছে, কিন্তু মেঝভাই নির্বিকার।
যথা সময়ে মেঝভাইয়ের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হলো। সবাই খুশি। ফুফু নবজাতককে কোলে নিয়ে মহা আহ্লাদে লক্ষ করলেন তার শরীর নীল বর্ণের। তিনি শফিউদ্দিন মওলানাকে ডেকে পানি পড়া নিলেন, তাবিজতুমার বেঁধে দিলেন গলায়। ওইটুকু বাচ্চা, মাধুলি গলায় নিয়ে যেন হিমসিম খাচ্ছে। তবু সবাই তৃপ্ত কারণ ফুফুর উদ্বিগ্নতা কমেছে।
দিন যায়, নুরীতা এখন চার বছর, উচ্ছল প্রাণবন্ত মেয়ে। কোনো আছড় ফাছড়ের লক্ষণ নেই, সারাদিন ঘরবাড়ি মাতিয়ে রাখে। ফুফু নিশ্চিন্ত। সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত। রফিকরাও ফুফুবাড়ি বেড়াতে আসে স্কুল থেকেই। কারণ স্কুল তাদের বাড়ির কাছে। ওদের মেঝভাইও আহ্লাদিত, নুরীতাকে সকলা ১০টা অব্দি কোলে কোলে রাখে। মেঝ বউয়েরও আদর যত্ন বেড়েছে, প্রায় ১০ বছর তারা ছিল নিঃসন্তান।
দিন যায়, হঠাৎ একদিন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। দক্ষিণের এই অঞ্চলে তেমন রাজনীতি ছিল না। তেমন কোনো দলাদলিও না। তিন দিন পরে খবরের কাগজ পাওয়া যেতো। দুচারজন কিনত। তা থেকে কেউ কেউ রাজনীতির খবর জানত। কেবল শর্ষিণার পীরের একদল মুরিদ ছিল, তারা ইসলামী রাজনীতির কথা বলত। কিন্তু খবর থেকে স্বাধীনতা শব্দটি কি করে যেন মানুষের মনে স্থির হয়ে গেল। যেন রক্তের ভিতরে প্রথিত হলো এই শব্দ। আর ‘জয় বাংলা’ রফিক তখন ঢাকায়। পরে শুনেছিল মেঝ ভাই কাউকে কিছু না বলে রাতে যুদ্ধে চলে গিয়েছিল। সংবাদটা সে তার এক বন্ধুকে দিয়ে পৌঁছেছিল। আশ্চর্য্ বাড়ির কেউ এ নিয়ে তেমন হাহুতাশ করেনি। এমন কী মেঝ ভাবী না। তখন ওখানে মিলিটারী ক্যাম্প এবাড়ি ওবাড়ি হানা দিচ্ছে। ওদের বাড়িতেও গেছে। মানুষ ভয়ে অস্থির, কিন্তু ভিতরে ভিতরে প্রস্তুত হয়েছিল যুবকেরা।
তক্তা সালেমউদ্দিন শক্তিতে সাহসে যে তক্তা সালেমউদ্দিন সেটা তার সহযোদ্ধারা বুঝেছিল জুনে বিষখালী নদীতে গান বোট ডুবিয়ে দেয়ার অপারেশনে। তখন সন্ধ্যা টিপ টিপ বৃষ্টি, চারিদিকে অন্ধকার, মাঝ বরাবর জেগে ওঠা দীপের ছল্লাগাছগুলো দুলছে ,পায়ের নিচে সদ্যপলিপরা কাদা। দিনের বেলাও এই ঝোপের ভিতর অন্ধকার।আর হাঁটা অনেকটা কষ্টকর। মিলিটারীরা বিকেলে জোয়ারের দিকে গেছে। তাই দেখে তক্তা তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে অপারেশন নিরধারণ করলেন, ফেরার পথে। আর তারা শক্ত পোক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন ছল্লা বনের আড়ালে। যথারীতি অদ্ভুত আকৃতির দানবটা এগিয়ে আসছিল এবং কাছাকাছি আসতেই তারা বোধহয় অনুভব করছিল কোনো আক্রমন, তাই মেশিনগান থেকে ঝাড়ছিল অগ্নিবৃষ্টি। কারো বাইরে বেরিয়ে আসার ‍ফুরসুৎ দিচ্ছিল না। কিন্তু তক্তা সালেম হেরে যাবে না। সে প্রতিজ্ঞ। আর লাফিয়ে যখন বের হলো তখন গানবোট তীরের কাছে তাদের প্রায় সামনে। তক্তা ‘জয় বাংলা’ বলে গ্রেনেড ছুঁড়েছিল হাটু পানিতে নেমে। গ্রেনেড বিষ্ফারিত হলো উড়ে গেলো গান বোট আর চার মিলিটারী। কিন্তু তক্তা গুলিতে ঝাঝড়া, এবং সে পড়ে গেলো ভাটির নদীতে। তক্তা হারিয়ে গেল। এখবর বাড়িতে পৌঁছেছিল বিজয়ের পর।আর তক্তা হয়ে রইলো বীর মুক্তিযোদ্ধা তক্তাসালেম।
রফিকের ফুফু ফুফা মারা গেছেন। ওরা কেউ আর এক জায়গায় নেই। জীবনের নানা টানে নানা জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। দেখা হয় না কারো সাথে কারো। আর তক্তা সালেমউদ্দিন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর; তার কন্যা থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে তার স্বামীও। দু’জনই উচ্চশিক্ষিত।কি ভাবে যেনো একটা জীবন স্মৃতির ভারে তলিয়ে গেছে। আহা..

Comments

Popular posts from this blog

অবৈধ সম্পর্কের শীর্ষে এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলেই সবাই পশ্চিমা বিশ্বের দিকে ইঙ্গিত করেন। এই ধারণা কিছুটা হলেও ভুল। কারণ বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের শীর্ষে এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। দেশটির ৫৬ শতাংশ বিবাহিত দম্পতিই অবৈধ সম্পর্ক রাখেন। যুক্তরাজ্যের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তালিকার কথা জানিয়েছে। তালিকার শীর্ষ দেশ থাইল্যান্ড হলেও অপর নয়টি দেশ ইউরোপের। শীর্ষ দশে যুক্তরাজ্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে সমীক্ষাটি চালায় দ্য রিচেস্ট ও ম্যাচ ডটকম। সমীক্ষার শীর্ষ দশে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান না হওয়া বিষয়ে রিচেস্ট ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে মানব ক্লোনিং, আত্মহত্যা ও বহুগামিতার চেয়েও খারাপ মনে করেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে একে বলা হয় প্রতারণা। অবৈধ সম্পর্কের তালিকা নিম্নক্রম অনুসারে শীর্ষ দশটি দেশের তালিকা ও তালিকায় স্থান হওয়ার কারণ দেওয়া হলো। ১০. ফিনল্যান্ড : ৩৬ শতাংশ: ২০১০ সালের পর থেকে ফিনল্যান্ডে বিবাহিতদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের হার দ্রুত বাড়ছে। অনেকের মতে, ফিনল্যান্ডে অনেক সময়...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এবারের জন্মদিনটি আওয়ামী লীগ জাঁকজমকভাবে পালন করবে না। রোহিঙ্গা ইস্যু এবং পরপর বন্যার কারণে দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে এবারের জন্মদিন আড়ম্বর পরিবেশে হবে না বলে আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ও রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা হবে। এছাড়া সারা দেশের প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে একটি হাসপাতালে গলব্লাডার অপারেশনের পর সেখানকার আবাসস্থলে বিশ্রামে রয়েছেন। সেখানেই তিনি ঘরোয়া পরিবেশে জন্মদিন কাটাবেন। এর আগেও ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতিবছরই শেখ হাসিনার জন্মদিন কাটে দেশের বাইরে। প্...

UK police hunt Manchester bomber's network

Police scrambled to close down a network around the Manchester suicide bomber with arrests in Britain and Tripoli on Wednesday, as details about the investigation were leaked to U.S. media, infuriating authorities who fear a second attack is imminent. British-born Salman Abedi, 22, who was known to security services, killed 22 people at a concert venue packed with children on Monday, reports Reuters. Authorities believe he had help in building the bomb, which photographs published by the New York Times showed was sophisticated and powerful, and that his accomplices could be ready to strike again. Manchester police arrested five men and one woman on Wednesday, bringing the total held for questioning to seven, and searched multiple addresses in northern and central England. Explosives were found at one site, the Independent reported, citing security service sources. A source said British investigators were hunting for anyone who may have helped build the suici...