সামান্য বৃষ্টিতেই মির্জাপুরে পৌরসভার রাস্তায় হাঁটু পানি জমে। এতে জলাবদ্ধতা হওয়ায় চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পৌরবাসী। রাস্তায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা সঠিক কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সালে মির্জাপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভার বয়স দেড় যুগ পার হলেও পৌরবাসীর জন্য নাগরিক সুবিধা তেমন বাড়েনি। পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের নাগরিকদের রয়েছে নানা সমস্যা ও দুর্ভোগ। এক, তিন, দুই, আট ও চার নম্বর ওয়ার্ডের কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস থাকলেও রাস্তা-ঘাটের করুণ দশা। বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা আরো নাজুক। এ যেন বাতির নিচেই অন্ধকার। অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট কাঁচা হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে পৌরবাসীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও থানা রোড, বাওয়ার কুমারজানি রোড, ইউনিয়নপাড়া আমজাদ হোসেন রোড, বংশাই রোড, কালিবাড়ি রোড, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোড, কুমুদিনী হাসপাতাল রোড, বিশ্ব রোড থেকে গোড়াইল-পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া রোডসহ প্রতিটি রাস্তার বেহাল ও করুণ দশা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই এ সব রাস্তার উপর সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
কোনো কোনো সময় কোমর পানি পর্যন্ত হয়ে যায়। পৌরসভার পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে শহরের প্রধান কয়েকটি রাস্তার পাশে ড্রেনেজ করা হলেও পরিষ্কার সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পানি প্রবাহিত হতে পারছে না। ফলে বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর পানি জমে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতর পানি ঢুকে পড়ে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ সাহাদত হোসেন সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি পৌরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। শহর ও পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল বিষয়ে উন্নয়নের জন্য প্রকল্প তৈরি করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা হবে। এ জন্য তিনি পৌরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।’
Comments
Post a Comment