উত্তরায় শুটিং করছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। হঠাৎ কানে কান্নার আওয়াজ এলো। বারান্দায় গিয়ে দেখেন একটি মেয়ে করুণ চোখে তাকিয়ে আছে তার দেখে। মায়া হল মৌসুমীর। কাছে গিয়ে জানতে পারলেন, মেয়েটিকে প্রায়ই মারধর করেন বাড়ীর লোকজন।
মৌসুমী বারান্দায় যাওয়াতে বাচ্চা মেয়েটিকে মারা বন্ধ করেন মধ্যবয়সী এক মহিলা। মৌসুমী জিজ্ঞেস করাতে সেই মহিলা মৌসুমীকে বললেন, না কই কেউ তো কাঁদে না। এখানে তো কাউকে মারা হচ্ছে না। এটা বলাতেই মৌসুমী হামিদের সন্দেহ হয়। পরে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে মৌসুমী জিজ্ঞেস করেন, কেন মারছে তোমাকে? তখন মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বলে ‘আমার বাবা-মা কেউ নাই। তাই আমি এখানে থাকি। আমাকে প্রায়ই মারে। এ কথা শুনে মৌসুমী তখন ওই মহিলার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করেন। তাও আবার ফেসবুক লাইভে।
ভিডিওটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। তারপরও মহিলা অস্বীকার করেন কখনও তিনি তার কাজের মেয়েটির গায়ে হাত তুলেননি। এভাবে কিছুক্ষণ লাইভে থাকার পর সেদিন আর কিছুই হয়নি। পরে মৌসুমী শুটিং শেষ করে বাসায় চলে আসেন।
শুক্রবার মৌসুমীর শুটিং সেটে হাজির হন তার এক ভক্ত। তিনি এসে ফেসবুক লাইভের ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলেন। তারপর উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে আসে এক গাড়ি পুলিশ। সেই কাজের মেয়ের বাসায় পুলিশসহ মৌসুমী যান। সেখানে গিয়ে তখন কাজের মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হয়। কিন্তু মেয়েটি ভয়ে কিছুই বলতে পারে না এবং মারধরের ব্যাপারটি অস্বীকার করে। এতে অবশ্য পুলিশ কিছুই করতে পারেনি।
Comments
Post a Comment