বয়সে একত্রিশকেও ছাড়িয়ে গেছেন রাফায়েল নাদাল। কিন্তু ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলায় উড়ছেন স্পেনের এই টেনিস তারকা। দুর্দান্ত খেলেই মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে জায়গা করে নেন তিনি। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেদেরারের কাছে মেলবোর্নের শিরোপা হাতছাড়া করে ফেলেন নাদাল।
তবে সদ্য সমাপ্ত ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা মিস করেননি তিনি। সুইজারল্যান্ডের স্টানিস্লাস ভাবরিঙ্কাকে হারিয়ে প্যারিসের এই টুর্নামেন্টের দশম শিরোপা জয়ের অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়েন নাদাল। সেইসঙ্গে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনো গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের দশম শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি।
স্প্যানিশ টেনিস তারকার লক্ষ্য এখন উইম্বলডন। তাই তো আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাগন চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছেন না নাদাল। মূলত উইম্বলডনের জন্য প্রস্তুত হতেই এই সময়টাতে বিশ্রামে থাকতে চান বিশ্ব টেনিস র্যাংকিংয়ের সাবেক এই নাম্বার ওয়ান।
তবে কুইন্সের এই টুর্নামেন্টে খেলতে না পারায় সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নাদাল। এ প্রসঙ্গে তার ফেসবুক পেজে রাফায়েল নাদাল বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে কুইন্সে খেলতে যেতে পারছি না বলে আমি খুবই দুঃখিত। এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে আমারও খুব খারাপ লাগছে।
কারণ আমি কুইন্স ভালোবাসি। ২০০৮ সালে এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন আমি। তাছাড়া কুইন্সে খেলার পর সবসময়ই উইম্বলডনের ফাইনালের টিকিট কেটেছি। সত্যি কথা বলতে কিছুদিন বিশ্রামে থেকে উইম্বলডনের কোর্টে নামতে চেয়েছিলাম।
কারণ আমি কুইন্স ভালোবাসি। ২০০৮ সালে এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন আমি। তাছাড়া কুইন্সে খেলার পর সবসময়ই উইম্বলডনের ফাইনালের টিকিট কেটেছি। সত্যি কথা বলতে কিছুদিন বিশ্রামে থেকে উইম্বলডনের কোর্টে নামতে চেয়েছিলাম।
৩১ বছর বয়সে ক্লে কোর্টের দীর্ঘ সূচী শেষে শরীরের জন্য কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই টিম এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েই বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নেই। এজন্য টুর্নামেন্টের আয়োজক কর্তৃপক্ষ এবং ব্রিটেনের সকল ভক্তদের কাছেই দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি, কুইন্সে আগামী বছর দেখা হবে তোমাদের সঙ্গে।’
ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসের ১৪ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছেন নাদাল। তার সামনে এখন শুধুই রজার ফেদেরার। সুইজারল্যান্ডের এই জীবন্ত কিংবদন্তির নামের পাশে এখন ১৮ গ্র্যান্ডস্লাম। তবে নাদাল যেভাবে ছুটছেন ফেড এক্সপ্রেসকে ধরে ফেলাটা কেবলই সময়ের বিষয়।
Comments
Post a Comment