ঢাকার গুলশানের পুলিশ প্লাজা কনকর্ড শপিং মলে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা তাদের পোশাক, জুতা, ব্যাগ, কসমেটিক, ঘড়ি ও গহনাসহ ঘর সাজানোর উপকরণ কিনতে ভিড় করছেন এখানে।
রোজার শুরু থেকে মার্কেটে চলছে ঈদের প্রস্তুতি। ক্রেতারা রোজার প্রথম থেকে শুরু করেছেন কেনাকাটা। ক্রেতাদের পছন্দকে এক ছাদের নিচে সহজ করে দিতে পুলিশ প্লাজা কনকর্ড সেজেছে হাজারো ঈদ পোশাকের সমারোহে।
পুলিশ প্লাজা কনকর্ড শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, ঈদ কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি পণ্যের বিপুল সমাহারে সাজানো হয়েছে শপিংমল। এখানে ক্রেতাদের আর্কষণ করতে পোশাক, গহনা, জুতা ও ব্যাগ থেকে শুরু করে হাজারো পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
ঈদকে কেন্দ্র বিশেষ এক ধরনের ক্রেতারা মার্কেটে আসতে শুরু করেছেন। এসব ক্রেতা অধিক ভিড় পছন্দ করেন না বলেই আগেভাগেই মার্কেটে কেনাকাটা সেরে রাখছেন। অনেকে অফিসের ফাঁকে কেনাকাটা করছেন। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করছেন। অনেকে গ্রামসহ বিদেশে পোশাক পাঠানোর জন্যও পোশাক কিনছেন।
পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে মোট ৩৭১টি ছোটবড় দোকান রয়েছে। এর মধ্যে খাবারের দোকান ৩৬টি। রমজানকে কেন্দ্র করে রোজাদারদের জন্য মার্কেটেই নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে নারী-পুরুষের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ২৫ জন নারী ও ৭০ জন পুরুষের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।
জানা যায়, শপি মলের প্রথম তলায় পাওয়া ঘড়ি, কসমেটিকস, ফার্নিচার, লেডিস ও জেন্টস গার্মেন্টস শপ, মানি এক্সচেঞ্জ, এটিএম বুথ, গিফট আইটেম দোকান।
দ্বিতীয় তলায় কিডস, লেডিস ও জেন্টস গার্মেন্টস শপ, কসমেটিকস, চশমা, স্পোর্টস আইটেম, থ্রিডি বডি এসেসমেন্ট অ্যান্ড কনসালটেন্সি দোকান।
তৃতীয় তলায় রয়েছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, কিডস, চামড়াজাত পণ্য, লেডিস টেইলার্স ও আন্ডার গার্মেন্টস, ট্রাভেল ব্যাগ, বাচ্চাদের খেলনা, ইনভাইটেশন কার্ড, কুরিয়ার সার্ভিস, জুয়েলারি।
চতুর্থ তলায় আছে স্পোর্টস আইটেম, ক্রোকারিজ, শো-পিস, জুয়েলারি, লেডিস ও আন্ডার গার্মেন্টস, জুতা, দেশি ফ্যাশন হাউস, ইলেকট্রিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স।
পঞ্চম তলায় মোবাইল, মোবাইল সাভিসিং, বিকাশ, ইলেকট্রিক পণ্য ও খাবার দোকান।
পরিবারের সদস্যকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে এসেছেন ব্যাংকার আবিদা সুলতানা। তিনি বলেন, আমি এরই মধ্যে দেবর ও দেবরের স্ত্রী জন্য পাঞ্জাবি ও শাড়ি কিনেছি। আমার আট বছরের মেয়ের জন্য জামা, জুতাসহ জিন্স প্যান্ট কিনেছি। গ্রামে থাকা দুই ভাগনির জন্য পোশাক কিনেছি। ঈদের ঝামেলা লাগার আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি।
Comments
Post a Comment