সৌদি জোটের আরোপিত কাতারবিরোধী অবরোধের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে গ্যাস উত্তোলন ৩০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোহা। ৪ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদ শারিদা আল কাবি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কাতার পেট্রোলিয়াম বছরে ৭৭ মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) উত্তোলন করে থাকে। তবে এখন আমরা বার্ষিক ১০০ মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ অবরোধ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার শিরোনাম করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমস। দোহায় কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কাতার পেট্রোলিয়াম সূত্র জানিয়েছে, উত্তোলিত বাড়তি গ্যাস বিভিন্ন দেশে রপ্তানিতে নজর দেবে দোহা। ইউরোপের বৃহৎ তেল-গ্যাস কোম্পানি টোটাল ছাড়াও চীন ও ইরানসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে গ্যাস বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী কাতার।
বিশ্বে তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ কাতার। একই সঙ্গে তেল রপ্তানিতেও অন্যতম বৃহৎ দেশ। দেশটির গ্যাসের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল সৌদি জোটের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। কারণ আমিরাতের বিদ্যুতের অর্ধেকই আসে কাতারের গ্যাস পাইপলাইন থেকে।
কাতার যদি দেশটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে অন্ধকারে ছেয়ে যাবে দুবাই শহর। কারণ এ শহরের বিদ্যুতের উৎস হচ্ছে কাতারি গ্যাস। প্রতিদিন কাতার থেকে ২ বিলিয়ন কিউবিক গ্যাস যায় আমিরাতে। অন্য কোনও দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করা আমিরাতের জন্য অনেক বেশি ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য।
তবে মঙ্গলবার কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদ শারিদা আল কাবি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, কোনো দেশের গ্যাস সরবরাহ বাতিল করে দেয়ার ইচ্ছে কাতারের নেই।
Comments
Post a Comment