Skip to main content

মঙ্গল নিষ্প্রাণ, দাবি এডিনবরার গবেষকদের

মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থাকাই সম্ভব নয়। চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিলেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ভয়ানক পারক্লোরেট রাসায়নিক ধ্বংস করে দিয়েছে মঙ্গলে তৈরি হওয়া সমস্ত ব্যাকটেরিয়া। লাল গ্রহে কখনও কোনও প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকলে তাও ধ্বংস করে দিয়েছে এই ক্ষতিকর রাসায়নিক। এমনটাই দাবি গবেষকদের।
এই দাবির ফলে বড়সড় ধাক্কা খাবে মিশন মার্স। এমনটাই মনে করছেন বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা।
রিল লাইফে বার বার দেখা গিয়েছে ওদের। হলিউডের ছবি তো বটেই। বলিউডের ছবিতেও। এলিয়েন। ভিন গ্রহের আজব জীব। সত্যজিত্‍ রায়ের অসামান্য সৃষ্টি প্রফেসর শঙ্কু ও বোমযাত্রীর ডায়েরির প্রাণকেন্দ্রে সেই মঙ্গল গ্রহই। চাকর প্রহ্লাদ, পোষা বেড়াল নিউটন ও নিজের আবিষ্কৃত রোবট বিধুশেখরকে নিয়ে মঙ্গল গ্রহে যাত্রা করেছিলেন প্রফেসর শঙ্কু। সেখানে একদল স্থানীয় জীবের তাড়া খেয়ে তাঁরা পালিয়ে আসেন। লাল রঙের নদী দেখেছিলেন তাঁরা। নরম রবারের মতো গাছপালা ও মাটি দেখেন। মঙ্গলের আকাশের রং ছিল নাকি সবুজ।
মঙ্গলে প্রাণ আছে কি নেই, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। অনবরত গবেষণা চলছে নাসার। মার্স রোভার পাঠিয়ে প্রতিনিয়ত মঙ্গলের ছবি বিশ্লেষণ করে জানার চেষ্টা চলছে, পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহে প্রাণ আছে কি নেই। জলের অস্তিত্ব কখনও ছিল কি না। একটু একটু করে যখন প্রাণের অস্তিত্বের ইঙ্গিত উঠে আসছে নানা গবেষণায়, ঠিক তখনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
মঙ্গলে পারক্লোরেট রাসায়নিকের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। মঙ্গলে তৈরি হওয়া ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দিয়েছে এই রাসায়নিক। এই রাসায়নিকের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে আয়রন অক্সাইড ও হাইড্রোজেন পারক্সাইড। ফলে, সমস্ত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। কোনও প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকলেও তাও ধ্বংস করে দিয়েছে এই ক্ষতিকর রাসায়নিক।
গবেষকদের এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে নড়েচড়ে বসেছেন বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে তাবড় গবেষণা যে অনেকটাই ধাক্কা খাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Comments

Popular posts from this blog

যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা

মানব জীবনের সব চেয়ে গোপনীয় জিনিসটি হচ্ছে যৌনতা! আর মজার বিষয় হলো- কানাকানি, ফিসফিসিয়ে কিংবা সম-বয়সির আড্ডায়, যে কোন উপায়েই হোক এখানে উন্মচিত হয় যৌনতার হাজারো কৌতুহলের রহস্যভেদ।যৌনতা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই।কেননা মানুষের চরম আকাঙ্খিত ব্যাপারটিই যে যৌনতা।না হওয়া তৃতীয় মহাযুদ্বে হারতেও আপত্তি নেই, কিন্তু যে করেই হোক হারা যাবে না যৌনতার এই যুদ্ধে। এবার ভাবুন!এই যুদ্ধে হারার লজ্জা কত বড়!এবার মিলিয়ে নেওয়া যাক যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা।আর আপনি আমি কোথায়? মেষ (২১ মার্চ-২১ এপ্রিল) যৌনতা, যুদ্ধ এবং শক্তির দেবতা হলো মঙ্গল। আর এ সবকিছুই ফুটে ওঠে মেষ রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে। দৈহিক প্রেমের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগে পারঙ্গম এই মানুষেরা দুর্দান্ত প্রেমিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বেস্ট পারফরম্যান্সের জন্য আপনাকে ব্যাটবল চালাতে হবে সমানতালে। আর খেলার মাঠের কাটাছেঁড়া, রক্ত বা অন্য কোনো লাভ বাইট দেহজ প্রেমকে যেন করে তোলে আরো আকর্ষণীয়। বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) ভালোবাসার দেবী ভেনাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে এই রাশির জাতক জাতিকার ওপর। এরা দৈহিক ভালোবাসার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে খ

হলিডে মার্কেটের আয়ে ৮ সদস্যের সংসার চালান তাসলিমা

তাসলিমা বেগম। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনের হলিডে মার্কেটে কসমেটিকসের একটি দোকান রয়েছে তার। শুক্রবার এই মার্কেট পরিদর্শনের সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ছয় সন্তানের জননী তাসলিমা বেগমের। তিনি বলেন, প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টার পরই দোকান খুলি। রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। আবার অনেক সময় একটু বেশিও থাকা হয়। মেয়েদের মাথার ছোট বেন্ড, নেলপালিশ ও টিপ থেকে শুরু করে আলতা ও স্নো’সহ সব ধরনের আইটেমই বিক্রি করি। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দামের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায় তার দোকানে। কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছয়ডা পোলা-মাইয়া লইয়া থাকি। কেমুন খরচ লাগতে পারে। তার মানে কী এই এক দিনের বিক্রিতেই আপনার সংসার চলে- এমন প্রশ্নের প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, এইহানে মাসে চাইর দিন সকাল থাইকা বই (বসি)। শনিবারও বই। এছাড়া আরও দুই/একদিন আশেপাশে ঘুইরা বিক্রি করি। তবে এই মার্কেটের বিক্রিতেই বেশি আয় হয়। এছাড়া আমাগো তো বেশি ট্যাহা লাগে না। যা অয় মোটামুটি চইল্যা যায়। তাসলিমা বেগমের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, স্বামীসহ তাদের আট সদস্যের পরিবার। স্বামী উপার্জন তেমন একটা উল্লেখ করার মত নয়। তাই সামান্য আয়ে

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য ফ্রি খাবার

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য রাস্তার পাশে ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব খাবারগুলো সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর বসানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মসজিদের পাশে এ রেফ্রিজারেটরগুলো রাখা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় বাসা-বাড়ি বা হোটেলের অতিরিক্ত খাবার মুসাফির, পথিক বা গরিবদের জন্য সেগুলোতে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, শহরের আধুনিক ফ্ল্যাটে বসবাসকারী অনেক মানুষ খাবার দান করতে চান। কিন্তু সামর্থ্য থাকার পরও তারা সেটা করতে পারছেন না। এ কারণে প্রশাসন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবার যে কেউ ইচ্ছামতো খেতে পারবেন।