Skip to main content

জি-২০ সম্মেলন: সহিংসতা ও ঐক্যমতে শেষ



অর্থনৈতিকভাবে উন্নত জি-২০- (Group-20)ভুক্ত দেশগুলোর দুদিন ব্যাপী সম্মেলন জার্মানির হামবুর্গ শহরে শেষ হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে অন্যান্য দেশগুলো ঐক্যমত হতে হয়ে এই চুক্তি বাস্তবায়নে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে,রাজপথ ছিল পুঁজিবাদবিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল। তারা সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতির বিরোধিতা করেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো ও সম্পদের অসম বণ্টনের বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এসময় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
সম্মেলনে জলবায়ু চুক্তি নিয়ে দ্বিমত থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জার্মানির সম্মেলন তার জন্য বিস্ময়কর এক সাফল্য।
এদিকে,শনিবার যৌথ বিবৃতিতে জি-২০ভুক্ত ১৮টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানায়, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়াকে মেনে নিলেও জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে তারা একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
বিশ্বে সবচেয়ে কার্বন নি:সরণকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত। সবাই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে বাস্তবায়নে অঙ্গীকার করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজদেশের নাগরিকের সংকীর্ণ স্বার্থের ধুয়া তুলে তা থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন।
এবার সম্মেলনের পার্শ্বরেখায় বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর শুক্রবারই প্রথম রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছেন। শেষ বেলায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। তিনি এসময় উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিকভাবে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেন।
হামবুর্গে শুক্র ও শনিবার দুদিনই পুলিশের সঙ্গে পুঁজিবাদবিরোধীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৭৬ পুলিশ আহত হন। বিক্ষোভকারীদের দমনে জলকামান ব্যবহার করে দাঙ্গা পুলিশ। তারপরও তারা রাজপথ ছাড়েননি।
এখন দেখার বিষয়, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার পর জি-২০ভুক্ত অন্যান্য দেশগুলো কীভাবে চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

জি-২০ (গ্রুপ অব টোয়েন্টি) হলো বিশ্বের ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট বা গ্রুপ। গ্রুপের সদস্য ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করেন। জি-২০ দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা সরকারপ্রধানও গ্রুপের সম্মেলনে তাদের নিজ নিজ দেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সৌদি আরব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া,তুরস্ক,আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, মেক্সিকো, জার্মানি, ফ্রান্স, চীন, ইতালি, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ নেয়।

Comments

Popular posts from this blog

যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা

মানব জীবনের সব চেয়ে গোপনীয় জিনিসটি হচ্ছে যৌনতা! আর মজার বিষয় হলো- কানাকানি, ফিসফিসিয়ে কিংবা সম-বয়সির আড্ডায়, যে কোন উপায়েই হোক এখানে উন্মচিত হয় যৌনতার হাজারো কৌতুহলের রহস্যভেদ।যৌনতা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই।কেননা মানুষের চরম আকাঙ্খিত ব্যাপারটিই যে যৌনতা।না হওয়া তৃতীয় মহাযুদ্বে হারতেও আপত্তি নেই, কিন্তু যে করেই হোক হারা যাবে না যৌনতার এই যুদ্ধে। এবার ভাবুন!এই যুদ্ধে হারার লজ্জা কত বড়!এবার মিলিয়ে নেওয়া যাক যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা।আর আপনি আমি কোথায়? মেষ (২১ মার্চ-২১ এপ্রিল) যৌনতা, যুদ্ধ এবং শক্তির দেবতা হলো মঙ্গল। আর এ সবকিছুই ফুটে ওঠে মেষ রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে। দৈহিক প্রেমের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগে পারঙ্গম এই মানুষেরা দুর্দান্ত প্রেমিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বেস্ট পারফরম্যান্সের জন্য আপনাকে ব্যাটবল চালাতে হবে সমানতালে। আর খেলার মাঠের কাটাছেঁড়া, রক্ত বা অন্য কোনো লাভ বাইট দেহজ প্রেমকে যেন করে তোলে আরো আকর্ষণীয়। বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) ভালোবাসার দেবী ভেনাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে এই রাশির জাতক জাতিকার ওপর। এরা দৈহিক ভালোবাসার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে খ

হলিডে মার্কেটের আয়ে ৮ সদস্যের সংসার চালান তাসলিমা

তাসলিমা বেগম। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনের হলিডে মার্কেটে কসমেটিকসের একটি দোকান রয়েছে তার। শুক্রবার এই মার্কেট পরিদর্শনের সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ছয় সন্তানের জননী তাসলিমা বেগমের। তিনি বলেন, প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টার পরই দোকান খুলি। রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। আবার অনেক সময় একটু বেশিও থাকা হয়। মেয়েদের মাথার ছোট বেন্ড, নেলপালিশ ও টিপ থেকে শুরু করে আলতা ও স্নো’সহ সব ধরনের আইটেমই বিক্রি করি। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দামের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায় তার দোকানে। কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছয়ডা পোলা-মাইয়া লইয়া থাকি। কেমুন খরচ লাগতে পারে। তার মানে কী এই এক দিনের বিক্রিতেই আপনার সংসার চলে- এমন প্রশ্নের প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, এইহানে মাসে চাইর দিন সকাল থাইকা বই (বসি)। শনিবারও বই। এছাড়া আরও দুই/একদিন আশেপাশে ঘুইরা বিক্রি করি। তবে এই মার্কেটের বিক্রিতেই বেশি আয় হয়। এছাড়া আমাগো তো বেশি ট্যাহা লাগে না। যা অয় মোটামুটি চইল্যা যায়। তাসলিমা বেগমের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, স্বামীসহ তাদের আট সদস্যের পরিবার। স্বামী উপার্জন তেমন একটা উল্লেখ করার মত নয়। তাই সামান্য আয়ে

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য ফ্রি খাবার

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য রাস্তার পাশে ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব খাবারগুলো সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর বসানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মসজিদের পাশে এ রেফ্রিজারেটরগুলো রাখা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় বাসা-বাড়ি বা হোটেলের অতিরিক্ত খাবার মুসাফির, পথিক বা গরিবদের জন্য সেগুলোতে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, শহরের আধুনিক ফ্ল্যাটে বসবাসকারী অনেক মানুষ খাবার দান করতে চান। কিন্তু সামর্থ্য থাকার পরও তারা সেটা করতে পারছেন না। এ কারণে প্রশাসন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবার যে কেউ ইচ্ছামতো খেতে পারবেন।