Skip to main content

বিএম কলেজে পেয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীদের চুলোচুলি, আহত ৯



বরিশালের বিএম কলেজের বনমালী ছাত্রীনিবাসে পেয়ারা পাড়া নিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীদের চুলোচুলি ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৯ জন। এতে আহত শারমিন আক্তার, মারিয়া হোসেন ও ইসরাত জাহানকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্য আহতরা হলো ছাত্রলীগ নেত্রী মুনিরা আক্তার মনি, কান্তা ইসলাম, ঝুমুর, ফাতেমা, জান্নাত ও মিষ্টি।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রীনিবাসে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছাত্রী নিবাসের ২নং ভবন কাকলী`র সামনে একটি পেয়ারা গাছ রয়েছে। সেখানে একটি শেড নির্মাণ করা হবে। শেড নির্মাণ করার কারণে গাছটি কাটা পড়বে। তাই ঠিকাদার জুয়েল ছাত্রলীগ নেত্রী মুনিরার কাছে পেয়ারা খাবে কিনা জানতে চায়। তখন মুনিরাসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে গাছ থেকে পেয়ারা পাড়ে। এই সময় হেনাসহ তারা অনুসারীরা পেয়ারা পাড়তে বাধা দেয়। এই সময় উভয় নেত্রীর মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
এক পর্যায়ে হেনা ও তার অনুসারীরা লাকড়ি নিয়ে হামলা করে। তারা মুনিরাসহ অনুসারীদের পিটিয়েছে। এই সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে উপাধাক্ষ্য স্বপন কুমার পাল, তত্ত্বাবধায়ক এসএম নাসিরউদ্দিন ও পুলিশসহ ছাত্রী নিবাসের সংশ্লিষ্টরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
মুনিরা আক্তার জানান, পেয়ারা পাড়ায় ছাত্রীনিবাসে থাকা হেনা ও তার অনুসারী ঝুমুর, ফাতেমা, জান্নাত ও মিষ্টিসহ কয়েকজন হামলা করে। তারা লাকড়ি দিয়ে তাকেসহ (মুনিরা) শারমিন, মারিয়া, কান্তা ও ইসরাতকে বেধরকভাবে পিটিয়েছে। অন্যান্য ছাত্রী ও ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়করা এসে তাদের উদ্ধার করে। এদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক এসএম নাসিরউদ্দিন জানান, পেয়ারা পাড়া নিয়ে দুই নেত্রী ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
উপাধাক্ষ্য স্বপন কুমার পাল বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হবে। তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Popular posts from this blog

যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা

মানব জীবনের সব চেয়ে গোপনীয় জিনিসটি হচ্ছে যৌনতা! আর মজার বিষয় হলো- কানাকানি, ফিসফিসিয়ে কিংবা সম-বয়সির আড্ডায়, যে কোন উপায়েই হোক এখানে উন্মচিত হয় যৌনতার হাজারো কৌতুহলের রহস্যভেদ।যৌনতা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই।কেননা মানুষের চরম আকাঙ্খিত ব্যাপারটিই যে যৌনতা।না হওয়া তৃতীয় মহাযুদ্বে হারতেও আপত্তি নেই, কিন্তু যে করেই হোক হারা যাবে না যৌনতার এই যুদ্ধে। এবার ভাবুন!এই যুদ্ধে হারার লজ্জা কত বড়!এবার মিলিয়ে নেওয়া যাক যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা।আর আপনি আমি কোথায়? মেষ (২১ মার্চ-২১ এপ্রিল) যৌনতা, যুদ্ধ এবং শক্তির দেবতা হলো মঙ্গল। আর এ সবকিছুই ফুটে ওঠে মেষ রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে। দৈহিক প্রেমের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগে পারঙ্গম এই মানুষেরা দুর্দান্ত প্রেমিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বেস্ট পারফরম্যান্সের জন্য আপনাকে ব্যাটবল চালাতে হবে সমানতালে। আর খেলার মাঠের কাটাছেঁড়া, রক্ত বা অন্য কোনো লাভ বাইট দেহজ প্রেমকে যেন করে তোলে আরো আকর্ষণীয়। বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) ভালোবাসার দেবী ভেনাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে এই রাশির জাতক জাতিকার ওপর। এরা দৈহিক ভালোবাসার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে খ

হলিডে মার্কেটের আয়ে ৮ সদস্যের সংসার চালান তাসলিমা

তাসলিমা বেগম। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনের হলিডে মার্কেটে কসমেটিকসের একটি দোকান রয়েছে তার। শুক্রবার এই মার্কেট পরিদর্শনের সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ছয় সন্তানের জননী তাসলিমা বেগমের। তিনি বলেন, প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টার পরই দোকান খুলি। রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। আবার অনেক সময় একটু বেশিও থাকা হয়। মেয়েদের মাথার ছোট বেন্ড, নেলপালিশ ও টিপ থেকে শুরু করে আলতা ও স্নো’সহ সব ধরনের আইটেমই বিক্রি করি। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দামের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায় তার দোকানে। কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছয়ডা পোলা-মাইয়া লইয়া থাকি। কেমুন খরচ লাগতে পারে। তার মানে কী এই এক দিনের বিক্রিতেই আপনার সংসার চলে- এমন প্রশ্নের প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, এইহানে মাসে চাইর দিন সকাল থাইকা বই (বসি)। শনিবারও বই। এছাড়া আরও দুই/একদিন আশেপাশে ঘুইরা বিক্রি করি। তবে এই মার্কেটের বিক্রিতেই বেশি আয় হয়। এছাড়া আমাগো তো বেশি ট্যাহা লাগে না। যা অয় মোটামুটি চইল্যা যায়। তাসলিমা বেগমের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, স্বামীসহ তাদের আট সদস্যের পরিবার। স্বামী উপার্জন তেমন একটা উল্লেখ করার মত নয়। তাই সামান্য আয়ে

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য ফ্রি খাবার

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য রাস্তার পাশে ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব খাবারগুলো সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর বসানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মসজিদের পাশে এ রেফ্রিজারেটরগুলো রাখা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় বাসা-বাড়ি বা হোটেলের অতিরিক্ত খাবার মুসাফির, পথিক বা গরিবদের জন্য সেগুলোতে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, শহরের আধুনিক ফ্ল্যাটে বসবাসকারী অনেক মানুষ খাবার দান করতে চান। কিন্তু সামর্থ্য থাকার পরও তারা সেটা করতে পারছেন না। এ কারণে প্রশাসন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবার যে কেউ ইচ্ছামতো খেতে পারবেন।