Skip to main content

লন্ডনে তামিমের স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের চেষ্টা

ইংলিশ কাউন্টিতে খেলতে গিয়ে শিউরে উঠার মতো কঠিন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন টাইগার তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। খ্রিস্টান উগ্রবাদীদের এসিড হামলা থেকে অল্পে জন্য রক্ষা পেয়েছেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। মঙ্গলবার লন্ডনে একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির একটি সূত্র জানায়, ওই বিদ্বেষমূলক হামলার পর এসেক্স কাউন্টির সঙ্গে চুক্তি মিটিয়ে দেশে ফিরছেন তামিম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার পর তামিমের হিজাব পরা স্ত্রীকে দেখে একদল খ্রিস্টান উগ্রবাদী ধাওয়া করে। তাদের হাতে এসিডও ছিল। হামলা থেকে বাঁচতে শিশু সন্তানকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান তামিম দম্পতি। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুসলিম হিজাব পরা নারীদের লক্ষ্য করে যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি এসিড হামলার ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের হামলা ক্রমশই বাড়ছে। ২১ জুন দুই বোন এসিড হামলার শিকার হন। এ ধরনের হামলা থেকে বাঁচতে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না মুসলিম নারীরা।
যোগাযোগ করা হলে তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘একান্ত ব্যক্তিগত কারণে তিনি বাড়ি ফিরছেন।’
প্রসঙ্গত, কাউন্টি ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এসেক্স ঈগলসের হয়ে খেলতে শনিবার ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন তামিম। খেলেছেন মাত্র এক ম্যাচ। খেলার কথা ছিল আট ম্যাচ। কিন্তু হঠাৎ করেই ‘ব্যক্তিগত কারণে’ দেশে ফিরে আসছেন তামিম। মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফেরার বিমান ধরেন ওপেনার।
তামিমের এভাবে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত এসেক্স তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও জানিয়েছে। মঙ্গলবার এসেক্স জানায়, ‘জরুরি ব্যক্তিগত কারণে দলের সঙ্গে থাকছেন না তামিম। আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানাই এবং তামিমের ব্যক্তিগত বিষয়কে সবাই সন্মান জানালে আমরা খুশি হব।’
কাউন্টিতে খেলতে গিয়ে এবার এসেক্সের হয়ে কেন্টের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন তামিম। সে ম্যাচের রান ছিল মাত্র ৭। প্রথম ৫ বলে ১ রান নেওয়ার পর বিশাল এক ছক্কা হাঁকান। তবে এর পরের বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে আসেন তিনি।

Comments

Popular posts from this blog

যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা

মানব জীবনের সব চেয়ে গোপনীয় জিনিসটি হচ্ছে যৌনতা! আর মজার বিষয় হলো- কানাকানি, ফিসফিসিয়ে কিংবা সম-বয়সির আড্ডায়, যে কোন উপায়েই হোক এখানে উন্মচিত হয় যৌনতার হাজারো কৌতুহলের রহস্যভেদ।যৌনতা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই।কেননা মানুষের চরম আকাঙ্খিত ব্যাপারটিই যে যৌনতা।না হওয়া তৃতীয় মহাযুদ্বে হারতেও আপত্তি নেই, কিন্তু যে করেই হোক হারা যাবে না যৌনতার এই যুদ্ধে। এবার ভাবুন!এই যুদ্ধে হারার লজ্জা কত বড়!এবার মিলিয়ে নেওয়া যাক যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা।আর আপনি আমি কোথায়? মেষ (২১ মার্চ-২১ এপ্রিল) যৌনতা, যুদ্ধ এবং শক্তির দেবতা হলো মঙ্গল। আর এ সবকিছুই ফুটে ওঠে মেষ রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে। দৈহিক প্রেমের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগে পারঙ্গম এই মানুষেরা দুর্দান্ত প্রেমিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বেস্ট পারফরম্যান্সের জন্য আপনাকে ব্যাটবল চালাতে হবে সমানতালে। আর খেলার মাঠের কাটাছেঁড়া, রক্ত বা অন্য কোনো লাভ বাইট দেহজ প্রেমকে যেন করে তোলে আরো আকর্ষণীয়। বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) ভালোবাসার দেবী ভেনাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে এই রাশির জাতক জাতিকার ওপর। এরা দৈহিক ভালোবাসার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে খ

হলিডে মার্কেটের আয়ে ৮ সদস্যের সংসার চালান তাসলিমা

তাসলিমা বেগম। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনের হলিডে মার্কেটে কসমেটিকসের একটি দোকান রয়েছে তার। শুক্রবার এই মার্কেট পরিদর্শনের সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ছয় সন্তানের জননী তাসলিমা বেগমের। তিনি বলেন, প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টার পরই দোকান খুলি। রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। আবার অনেক সময় একটু বেশিও থাকা হয়। মেয়েদের মাথার ছোট বেন্ড, নেলপালিশ ও টিপ থেকে শুরু করে আলতা ও স্নো’সহ সব ধরনের আইটেমই বিক্রি করি। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দামের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায় তার দোকানে। কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছয়ডা পোলা-মাইয়া লইয়া থাকি। কেমুন খরচ লাগতে পারে। তার মানে কী এই এক দিনের বিক্রিতেই আপনার সংসার চলে- এমন প্রশ্নের প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, এইহানে মাসে চাইর দিন সকাল থাইকা বই (বসি)। শনিবারও বই। এছাড়া আরও দুই/একদিন আশেপাশে ঘুইরা বিক্রি করি। তবে এই মার্কেটের বিক্রিতেই বেশি আয় হয়। এছাড়া আমাগো তো বেশি ট্যাহা লাগে না। যা অয় মোটামুটি চইল্যা যায়। তাসলিমা বেগমের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, স্বামীসহ তাদের আট সদস্যের পরিবার। স্বামী উপার্জন তেমন একটা উল্লেখ করার মত নয়। তাই সামান্য আয়ে

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য ফ্রি খাবার

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য রাস্তার পাশে ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব খাবারগুলো সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর বসানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মসজিদের পাশে এ রেফ্রিজারেটরগুলো রাখা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় বাসা-বাড়ি বা হোটেলের অতিরিক্ত খাবার মুসাফির, পথিক বা গরিবদের জন্য সেগুলোতে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, শহরের আধুনিক ফ্ল্যাটে বসবাসকারী অনেক মানুষ খাবার দান করতে চান। কিন্তু সামর্থ্য থাকার পরও তারা সেটা করতে পারছেন না। এ কারণে প্রশাসন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবার যে কেউ ইচ্ছামতো খেতে পারবেন।