Skip to main content

রক্ষিতা নই, আমি কার্লোসের স্ত্রী: রিমা



রাজধানীর পরীবাগের একটি ফ্ল্যাটে ইয়াবা ব্যবসায়ী সালেহ চৌধুরী ওরফে কার্লোস তার গৃহকর্মীকে সাত তলা থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সর্বত্র। পুলিশি রিমান্ডে যাওয়ার পর একাধিক মডেল অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেছেন কার্লোস।
দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদনের উঠে এসেছে এমন বিষয়। প্রতিবেদনটি আরো বলছে, এদিকে এ ব্যাপারে এই ক’দিনে নানা তথ্য বেরিয়ে আসে। সে সঙ্গে যোগ হয় ঘটনার সঙ্গে মডেল-অভিনেত্রী সাবিনা রিমার সম্পৃক্ততার কথাও। বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিমাকে কার্লোসের বান্ধবী বলা হলেও তিনি তার বৈধ স্ত্রী বলেই দাবি করেছেন। সে সঙ্গে এও জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রী হলেও গত সাত মাস ধরে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকছেন। কার্লোসের সঙ্গে সম্পর্ক ও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন রিমা। স্বামী ইয়াবা সেবনকারী এবং একই সঙ্গে অন্য নারীর সঙ্গে মেলামেশার বিষয়টিও বয়ানে তুলে ধরেন তিনি।
রিমা বলেন, আমি কার্লোসের বৈধ স্ত্রী। এক বছরেরও বেশি সময় আগে আমাদের ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে হয়। বিয়ের সেই কাবিননামা সহ আরো অনেক প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে আমার পরিচয়টা পাল্টে দেয়া হয়েছে। সবাই আমাকে কার্লোসের রক্ষিতা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই হতাশ হয়েছি। আরেকটা বিষয় জানানো উচিত, কার্লোস ইয়াবা সেবন করে এবং সেটার পর আমার সঙ্গে নানান বাজে ব্যবহার করায় আমি গত সাত মাস যাবৎ তার কাছ থেকে আলাদা থাকছি। শুধু তাই নয়, অ্যাডভোকেটের সঙ্গে কথাও বলেছি। কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত বিচ্ছেদে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হ্যাঁ এবার আসি ওইদিন কার্লোসের বাসায় গৃহকর্মীকে ফ্ল্যাট থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনায়। আমি তো আলাদাই থাকি। তাহলে আমার সে ব্যাপারে জানারও কথা নয়। তারপরও ওই ঘটনায় আমি জড়িত বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। আমি দীপ্ত টিভিতে ‘অপরাজিতা’ নতুন একটি সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয়ে ব্যস্ত। ওই দিনও আমি শুটিংয়ে ছিলাম চ্যানেলটির কার্যালয়ে। এর মধ্যেই এ ধরনের একটি ঘটনার কথা সংবাদ মাধ্যম মারফত জানতে পারি। যেখানে আমি উপস্থিতই ছিলাম না সেখানে আমাকে জড়িয়ে এ ধরনের গুঞ্জনের ফলে আমার ক্যারিয়ারে বড় একটি বাজে প্রভাব পড়ছে। তাই আমি আবারো বলছি আমি কার্লোসের বৈধ স্ত্রী। তবে আমরা আলাদা থাকছি। আর এ ঘটনার সঙ্গেও আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এদিকে সাবিনা রিমার সঙ্গে আলাপকালে কার্লোস সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছি। সেও আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু তার ইয়াবা সেবনের কারণে আমি তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছি। শুধুই কি ইয়াবা সেবন একমাত্র কারণ? নাকি অন্য কোনো কারণও আছে? এ প্রসঙ্গে রিমা বলেন, না আসলে কার্লোস যৌন সঙ্গমে অক্ষম। যে কারণে যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ওষুধ ও ইয়াবা সেবন করতো। মাঝে মাঝে এসব করে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণও করতো। মূলত এই কারণেই আমি কার্লোসের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছি। রিমার বয়ানে আরো বেরিয়ে আসে কার্লোসের সঙ্গে মিডিয়া জগতের কয়েকজন জনপ্রিয় মডেলদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা। তিনি বলেন, কার্লোস ইয়াবা সেবন করে সেটা জানি ও জানতাম। কিন্তু ব্যবসার ব্যাপারে কিছুই জানি না। কয়েকজন মডেলের সঙ্গে কার্লোসের সম্পর্ক আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

Comments

Popular posts from this blog

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন আর নেই

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন (৭৭) বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। Click Here ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিহংহ-হালুয়াঘাটের এই আওয়ামী লীগ নেতা কিছুদিন ধরে মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার ভোরে তার মৃত্যুর খবর দেশে আসে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান। গারো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি প্রমোদ মানকিন জাতীয় সংসদে ময়মনিসংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন চার বার।    তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত এই নেতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এক গারো খ্রিস্টান পরিবারে প্রমোদ মানকিনের জন্ম। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে দিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন তিনি। 

রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ ড্যাফোডিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের বিপরীতে সোবহানবাগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ওপর ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলা করে যাচ্ছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। এ হামলা থেকে রোহিঙ্গা শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না; যার কারণে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশে চলে আসছে। বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যা ঘটছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্বরোচিত এ হামলার নিন্দা ও তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা খান, উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপ্যাল রহিমা মির্জা রোজিমেরি প্রমুখ। এছাড়া দ্রুত এ হামলা বন্ধ করে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।