Skip to main content

রাজশাহীতে অপরিকল্পিত পুকুর খনন: জলাবদ্ধতা-ফসলের ক্ষতি



পুকুর ও ঘেরের পানিতে ডুবেছে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার ক্ষেতের ফসল। অনুমোদন ছাড়াই ফসলি জমিতে ইচ্ছেমতো পুকুর ও ঘের তৈরি করায় একদিকে কমেছে চাষের জমি; অন্যদিকে নিষ্কাশন ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে একদিনের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এতে পানিতে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ভুক্তভোগী চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পবায় শুধুমাত্র একটি পুকুরের জন্য জলাবদ্ধতায় নষ্ট হচ্ছে হাজার বিঘা জমির ফসল। এদিকে, কয়েক বছর ধরে রাজশাহী জেলা জুড়েই চলছে পুকুর খনন। ফসলি জমি তো বটেই কালভার্ট ও ব্রিজের মুখ বন্ধ করেও চলছে খননের কাজ। নিজের ও দলের প্রভাবে চলছে পুকুর খনন।
এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো দল নয়, প্রভাবশালীরাই এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী পুকুর খনন প্রসঙ্গে নিশ্চুপ থাকায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন। পুকুর খনন সিন্ডিকেটের কাছে প্রশাসন এতই দুর্বল যে, বন্ধ তো দূরের কথা, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতেও পারছে না। ফলে, চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষিজীবীরা। প্রশাসনে বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একদিনের বৃষ্টিতেই ডুবে গেছে পবা উপজেলার তেঘর, বসন্তপুর, উলাপুর, থালতা, বাগধানি, বাগসারা, কুমড়াপুকুর গ্রামের মাঠ। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার একরের ফসলি জমি। কিছুদিন আগে বিলের উৎসমুখে পুকুর খনন করায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা।
সরেজমিন দেখা যায়, মহানগরীর শামসুদ্দিনের ছেলে আলহাজ্ব ওবাইদুল হক তেঘর-বসন্তপুর গ্রামের মাঝখানে পানি নিষ্কাশনের উৎসমুখ বন্ধ করে প্রায় ১৫-১৬ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করেছেন। জানা গেছে, ওবাইদুর রহমানের বাবা শামসুদ্দিন তহশীলদারের চাকরি করতেন। কোনো এক সময়ে তিনি এই বিলের পানি নিষ্কাশনের জায়গা নিজের নামে করে নেন।
এই জমিতে পুকুর খননকালে এলাকাবাসী প্রশাসনে আবেদন করেও কোনো ফল পাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক চাষি বলেন, প্রশাসনের কাছে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার নাম ভাঙিয়ে পুকুর খনন করেছেন। খননে বাধা দিলে ওবাইদুল হক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার দিনগত রাত থেকে শুরু হওয়া একদিনের বৃষ্টিতেই ডুবে গেছে ফসলি জমি। শুধুমাত্র এই পুকুরের জন্যই ডুবে গেছে হাজার বিঘা জমির ফসল। এ অবস্থায় চাষিরা পানিতে ডুবে যাওয়া ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমনকী পানি নিষ্কাশন করতে না পারলে এই উপজেলার অর্থকরী আলুচাষও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। পাশেই রাবণই নদী। নদীতে পানি যেতে না পারার কারণে এই কৃত্রিম জলাবদ্ধতা। অথচ নদীতে তেমন পানি নেই।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) চাষিদের অপরিপক্ক বেগুন, মরিচ, দেড়স, পটল তুলতে দেখা যায়। প্রভাবশালী ওবাইদুল হকের ভয়ে নাম প্রকাশে অনেকে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, এই পুকুরের জন্য আমাদের পথে বসতে হবে। কমপক্ষে নয়মাস চাষির জমি পানিতে ডুবে থাকবে। পাড় নিচু থাকায় আশেপাশের আগের পুকুরগুলোও ডুবে যাবে। মাছও চলে যাবে। শুধুমাত্র ওই পুকুরের জন্য অন্য পুকুরগুলি লিজ দিতে পারছে না। আবার ফসল করতে না পারলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। এখনই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হলে ক্ষুধার জ্বালায় একদিন জমিগুলো কমদামে বিক্রি করতে হবে; যা ওরাই যেনতেন দামে কিনে নেবে।
তিনি বলেন, পাইপ দিয়ে বা ড্রেন নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে কৃষি পরিবারগুলো চাষাবাদ করে ভালোভাবে সংসার চালাতে পারবে।
বিলের জলাবদ্ধতার বিষয়ে শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, চাষিরা মাছচাষে লাভবান হওয়ায় পুকুর খননে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তবে পুকুর খননকারীদের উচিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের নজরদারিতে আসা দরকার যে, যদি পুকুরের জন্য পানি নিষ্কাশন না হয় এবং জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, তাহলে ওই পুকুর মালিকের (লিজ) বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা। অপরের ক্ষতি করে পুকুর খনন কোনো মতেই গ্রহণ যোগ্য নয়। শাস্তি দিলে অন্তত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখেই তারা পুকুর খনন করতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী জেলার প্রতি উপজেলার খালবিলের উৎসমুখে অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে বিপাকে পড়েছেন জমির মালিকেরা। দুর্গাপুর উপজেলার দুটি খালের মুখে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতায় প্রায় ৩০০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে, এ মৌসুমে ওই জমিতে আলু চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, গত বর্ষায় পানি জমে বেশকিছু স্থানে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। প্রশাসনের কাছে দেনদরবার করেও বিলের পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হয়নি। পুকুর খনন যেভাবে বাড়ছে, সামনে আরওো বেশি পরিমাণ জমির ফসল নষ্ট হবে।
জানা যায়, পুকুর খননকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা পতিত জমি দেখিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পুকুর খনন বন্ধের অভিযান চালালে তারা রিটের কাগজ দেখান। ফলে শাস্তির বদলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে হয় কর্মকর্তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে এই প্রবণতা বেড়েছে। দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও পবা উপজেলায় পুকুরের সংখ্যা বেশি।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, মাছ চাষের জন্য দুর্গাপুরে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯০২টি পুকুর খনন করা হয়েছে। এর আয়তন ২ হাজার ৯৫৪ দশমিক ৩৬ হেক্টর। পুঠিয়া উপজেলায় পুকুরের সংখ্যা ৭ হাজার ২৬৬টি, যার আয়তন ১ হাজার ৫৪৮ হেক্টর ও পবা উপজেলায় দুই হাজার ৫শটি, যার আয়তন প্রায় ৫ হাজার হেক্টর। মৎস্য অফিসে পুকুর বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধু গত বছরেই খনন করা হয়েছে ১২৩ হেক্টর জমি। আবার এ বছর খনন হয়েছে ৩শ হেক্টর।
সম্প্রতি,পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের নলখোলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৩০ বিঘা আয়তনের একটি পুকুর খননের কাজ চলছে। পুকুরের মালিক শাহারুল ইসলাম তাঁবু টানিয়ে চেয়ারে বসে আছেন। তিনি বলেন, নিম্নাঞ্চল অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে তাদের এলাকায় জমির পানি বের হতে পারছে না। বাধ্য হয়ে তারাও পুকুর খনন করছেন। আশপাশের লোকজন তাদের জমি ইজারা দিয়েছেন। আদালতে রিট আবেদন করে পুকুর খননের অনুমতি পেয়েছেন।
একই এলাকার ইকবাল হোসেন বলেন, এই মাঠে তার জমি রয়েছে। গত বছর সেই জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। আশপাশে পুকুর কাটায় জমির পানি নামার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। পানির ভেতর থেকে কোনো শ্রমিক পাট কেটে নেয়নি। বাধ্য হয়ে তারা পুকুর মালিকের কাছেই জমি ইজারা দিয়েছেন। দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের অনুলিয়ারবিল ও পোড়াবিলে খালের মুখে পুকুর খনন করায় গত বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৩০০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে চাষিরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে বিলে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে গেছে। পুকুর মালিকেরা সাধারণ চাষিদের বাধ্য করছেন জমি বিক্রি করতে। এমনকী জোর করে জমি দখল করা হচ্ছে পুকুরখনন।
উপজেলার জুগিশো-পালশা গ্রামের কৃষক খুরশিদ আলম বলেন, এক পুকুর মালিক তার জমি জোর করে দখলে নিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, জমি বিক্রি করতে যাতে তিনি বাধ্য হন, সে জন্য তার বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক মামলা করেছেন। আদালত তার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এখন পুকুর মালিক উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। কয়েক দিন আগে প্রশাসনের লোকজন পরিস্থিতি দেখে গেছেন। কিন্তু এলাকার পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থাই করা হয়নি।
এদিকে, পবার তেঘর-বসন্তপুর বিলে পুকুর খননকারী ওবাইদুল হক পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে বলেন, নিজের জমিতে পুকুর খনন করেছেন। পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি সরকার দেখবে। পানি নিষ্কাশনে তার কিছু করার নেই।
পবা-মোহনপুর আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন।প্রশাসন চারটি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল। তিন জায়গাতেই পুকুরের মালিক আদালতের কাগজ দেখিয়েছেন। বাকি একজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা

মানব জীবনের সব চেয়ে গোপনীয় জিনিসটি হচ্ছে যৌনতা! আর মজার বিষয় হলো- কানাকানি, ফিসফিসিয়ে কিংবা সম-বয়সির আড্ডায়, যে কোন উপায়েই হোক এখানে উন্মচিত হয় যৌনতার হাজারো কৌতুহলের রহস্যভেদ।যৌনতা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই।কেননা মানুষের চরম আকাঙ্খিত ব্যাপারটিই যে যৌনতা।না হওয়া তৃতীয় মহাযুদ্বে হারতেও আপত্তি নেই, কিন্তু যে করেই হোক হারা যাবে না যৌনতার এই যুদ্ধে। এবার ভাবুন!এই যুদ্ধে হারার লজ্জা কত বড়!এবার মিলিয়ে নেওয়া যাক যৌন সক্ষমতায় সেরা কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা।আর আপনি আমি কোথায়? মেষ (২১ মার্চ-২১ এপ্রিল) যৌনতা, যুদ্ধ এবং শক্তির দেবতা হলো মঙ্গল। আর এ সবকিছুই ফুটে ওঠে মেষ রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে। দৈহিক প্রেমের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগে পারঙ্গম এই মানুষেরা দুর্দান্ত প্রেমিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বেস্ট পারফরম্যান্সের জন্য আপনাকে ব্যাটবল চালাতে হবে সমানতালে। আর খেলার মাঠের কাটাছেঁড়া, রক্ত বা অন্য কোনো লাভ বাইট দেহজ প্রেমকে যেন করে তোলে আরো আকর্ষণীয়। বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) ভালোবাসার দেবী ভেনাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে এই রাশির জাতক জাতিকার ওপর। এরা দৈহিক ভালোবাসার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে খ

হলিডে মার্কেটের আয়ে ৮ সদস্যের সংসার চালান তাসলিমা

তাসলিমা বেগম। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনের হলিডে মার্কেটে কসমেটিকসের একটি দোকান রয়েছে তার। শুক্রবার এই মার্কেট পরিদর্শনের সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ছয় সন্তানের জননী তাসলিমা বেগমের। তিনি বলেন, প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টার পরই দোকান খুলি। রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। আবার অনেক সময় একটু বেশিও থাকা হয়। মেয়েদের মাথার ছোট বেন্ড, নেলপালিশ ও টিপ থেকে শুরু করে আলতা ও স্নো’সহ সব ধরনের আইটেমই বিক্রি করি। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দামের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায় তার দোকানে। কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছয়ডা পোলা-মাইয়া লইয়া থাকি। কেমুন খরচ লাগতে পারে। তার মানে কী এই এক দিনের বিক্রিতেই আপনার সংসার চলে- এমন প্রশ্নের প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, এইহানে মাসে চাইর দিন সকাল থাইকা বই (বসি)। শনিবারও বই। এছাড়া আরও দুই/একদিন আশেপাশে ঘুইরা বিক্রি করি। তবে এই মার্কেটের বিক্রিতেই বেশি আয় হয়। এছাড়া আমাগো তো বেশি ট্যাহা লাগে না। যা অয় মোটামুটি চইল্যা যায়। তাসলিমা বেগমের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, স্বামীসহ তাদের আট সদস্যের পরিবার। স্বামী উপার্জন তেমন একটা উল্লেখ করার মত নয়। তাই সামান্য আয়ে

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য ফ্রি খাবার

সৌদি আরবে ক্ষুধার্তদের জন্য রাস্তার পাশে ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব খাবারগুলো সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর বসানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মসজিদের পাশে এ রেফ্রিজারেটরগুলো রাখা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় বাসা-বাড়ি বা হোটেলের অতিরিক্ত খাবার মুসাফির, পথিক বা গরিবদের জন্য সেগুলোতে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, শহরের আধুনিক ফ্ল্যাটে বসবাসকারী অনেক মানুষ খাবার দান করতে চান। কিন্তু সামর্থ্য থাকার পরও তারা সেটা করতে পারছেন না। এ কারণে প্রশাসন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবার যে কেউ ইচ্ছামতো খেতে পারবেন।