Skip to main content

সন্দেহের বশে নারীকে নগ্ন করে নির্যাতন, অতঃপর মৃত্যু

শুধু সন্দেহের বশে এক বিকলাঙ্গ নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। প্রথমে তাকে ধরে একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর পাথর মারা হয়। তিন ঘণ্টা মারধর করা হয় লাঠি দিয়ে।
অভিযোগ, তিনি একটি শিশুকে অপহরণ করেছেন। এমন পরিণতির শিকার ওই নারীর বয়স ৪২ বছর।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা। ইন্ডিয়া টুডের মতে, মুর্শিদাবাদ জেলার মিঠিপুর-পানাগড় গ্রামের এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, এই নারী তার ১০ বছর বয়সী কন্যাকে অপহরণের চেষ্টা করছিল। এরপরই গ্রামের লোকজন চড়াও হয়। তারা তাকে আটকে ফেলে। এরপর ট্রাক্টরের সঙ্গে তাকে বেঁধে তার গায়ের কাপড় ছিলে ফেলে। তার মাথার চুল কেটে দেয়। এ সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও কেউ তার কথায় কান দেয় নি। তিন ঘণ্টা তার ওপর প্রহারের ফলে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় তিনি মারা যান। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন সন্দেহে তদন্ত করছে গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে গ্রামের বেশ কিছু মানুষকে। তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়নি।

Comments

Popular posts from this blog

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন আর নেই

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন (৭৭) বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। Click Here ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিহংহ-হালুয়াঘাটের এই আওয়ামী লীগ নেতা কিছুদিন ধরে মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার ভোরে তার মৃত্যুর খবর দেশে আসে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান। গারো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি প্রমোদ মানকিন জাতীয় সংসদে ময়মনিসংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন চার বার।    তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত এই নেতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এক গারো খ্রিস্টান পরিবারে প্রমোদ মানকিনের জন্ম। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে দিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন তিনি। 

রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ ড্যাফোডিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের বিপরীতে সোবহানবাগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ওপর ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলা করে যাচ্ছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। এ হামলা থেকে রোহিঙ্গা শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না; যার কারণে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশে চলে আসছে। বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যা ঘটছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্বরোচিত এ হামলার নিন্দা ও তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা খান, উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপ্যাল রহিমা মির্জা রোজিমেরি প্রমুখ। এছাড়া দ্রুত এ হামলা বন্ধ করে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।