Skip to main content

চীনের অবিশ্বাস্য ৭ যুদ্ধজয়ের কাহিনী

যেকোনো যুদ্ধে সৈন্য সংখ্যা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হলো রণকৌশল। এ দুয়ের সম্মিলনই বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে পারে একজন সেনানায়কের সামনে, একটি পুরো জাতির সামনে। চীনের যুদ্ধবিগ্রহের ইতিহাসে এমনই সাতটি অসাধারণ বুদ্ধির জোরই বিজয় এনে দিয়েছিল কোণঠাসা বাহিনীর মুঠোয়!
দুই রমণীর নৃত্য
৬২৩ খ্রিস্টাব্দের কথা। ট্যাং সাম্রাজ্যের দিকে পাহাড় থেকে ঝড়ের বেগে এগিয়ে আসছিল তুয়ুহুন যাযাবর গোত্রের লোকেরা।
ট্যাং সাম্রাজ্যের জেনারেল চাই শাও নিজের দুরবস্থা উপলব্ধি করতে পারলেন। সৈন্য সংখ্যা, শক্তি-সামর্থ্য সবদিক থেকেই প্রতিপক্ষ ছিল এগিয়ে। স্বাভাবিক নিয়মে যুদ্ধ করতে গেলে তা স্বেচ্ছায় নিজেদের পরাজয় ডেকে আনা ছাড়া আর কিছুই হতো না। তাই কৌশল খাটালেন চাই শাও।
যুদ্ধের ময়দানে নিজের সেনাবাহিনী পাঠানোর পরিবর্তে তিনি পাঠালেন অসাধারণ রূপবতী দুই নারী ও একদল বাজনা বাদককে। সেখানে গিয়ে বাজনার তালে তালে মোহনীয় ভঙ্গিতে নাচতে থাকলো সেই নর্তকীরা।
ক্রমাগত যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখতে দেখতে হঠাৎ করে এমন আকর্ষণীয় নৃত্য দেখতে মোটেই প্রস্তুত ছিল না আক্রমণকারী তুয়ুহুনরা। তারা মুগ্ধ দৃষ্টিতে সেই দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলো।
ওদিকে চাই শাও-ও সেই নর্তকীদের পাঠিয়ে বসে ছিলেন না। নিজের সেনাবাহিনী নিয়ে পাহাড়-পর্বত পেরিয়ে তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গেলেন। এরপর? এরপর ঝড়ের বেগে আক্রমণকারী তুয়ুহুনদের ওপরই পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন চাই শাওয়ের নেতৃত্বাধীন ট্যাং সেনারা। এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না তারা। সে কারণে অল্প সময়ের মাঝেই শেষ হয়ে যায় সেই তুয়ুহুন বাহিনী!
এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চীনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী তুয়ুহুনদের পতন ঘটেছিল শুধুমাত্র দুই নারীর মোহনীয় নৃত্যের কাছেই!
সুইসাইড স্কোয়াড
৪৯৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে বসেন য়ু রাজ্যের রাজা গৌজিয়ান। দায়িত্ব নেওয়ার অল্প কিছুদিনের মাঝেই তার রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসা শুরু করে শত্রুরা। কিন্তু দেশ কিংবা সেনাবাহিনী- কোনোটিই পরিচালনার পূর্বাভিজ্ঞতা ছিল না গৌজিয়ানের। তিনি শুধু জানতেন অতর্কিত আক্রমণ আর ত্রাসের সঞ্চারের মাধ্যমেই শত্রুকে পরাজয়ের স্বাদ দেওয়া সম্ভব। এ লক্ষ্যেই তিনি এমন এক কাজ করলেন যা ইতিহাসে আজও ভয়াবহ এক ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
যুদ্ধের আগে নিজের সবচেয়ে অনুগত সুইসাইড স্কোয়াডকে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড় করালেন গৌজিয়ান। এরপর তাদেরকে কিছুটা এগিয়ে যেতে নির্দেশ দিলেন তিনি। শত্রু সেনাদের কাছাকাছি গিয়ে থেমে যায় গৌজিয়ানের সেই সুইসাইড স্কোয়াড। প্রতিপক্ষের সাথে একেবারে চোখাচোখি করে দাঁড়িয়ে ছিল তারা। এরপর? এরপর তারা এমন এক কাজ করে বসলেন যা তাদের প্রতিপক্ষ কোনোদিন দুঃস্বপ্নেও দেখেনি। গৌজিয়ানের সেই বাহিনী শত্রুর চোখে চোখ রেখেই এক এক করে নিজেদের গলা কেটে আত্মহত্যা করতে শুরু করলেন!
গৌজিয়ানের বাহিনীর এহেন কাজকারবার দেখে একেবারেই আশ্চর্য হয়ে গেল তার প্রতিপক্ষ। ভয়ের এক শীতল স্রোত যেন বয়ে গেল তাদের মেরুদণ্ড দিয়ে। ওদিকে গৌজিয়ানের অবশিষ্ট বাহিনী ততক্ষণে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে তাদের ওপর। প্রতিপক্ষ তখন ভাবলো যে তারা বোধহয় একদল সোসিওপ্যাথের সাথে যুদ্ধ করতে এসেছে, যারা তাদের নেতার নির্দেশে যেকোনো কিছু করতে পারে। এরপরই একে একে ভেঙে পড়তে শুরু করে প্রতিপক্ষের প্রতিরোধ ও সৈন্য সমাবেশ। এভাবেই প্রতিপক্ষের মনে ত্রাসের সঞ্চার করে সেদিন জয়ের পাল্লাটা নিজের দিকে ঝুঁকিয়ে নিয়েছিলেন গৌজিয়ান।
চেংপুর যুদ্ধ
৬৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কথা। চু বাহিনীর দিকে এগিয়ে আসছিল জিন বাহিনী। তবে একটি জিনিস লক্ষ করে বেশ আশ্চর্য হয়ে যায় চু বাহিনীর সেনারা। তারা দেখে যে, জিন বাহিনীর প্রতিটি ঘোড়ার গাড়ির পেছনেই বাঁধা আছে গাছ।
কিছুক্ষণের মাঝেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় সেই ব্যাপারটা নিয়ে আর ততটা মাথা ঘামালো না চু বাহিনী। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর পিছু হটতে শুরু করে দেয় জিন বাহিনী। নিজেদের জয় নিশ্চিত ভেবে তাদের পিছনে ধাওয়া শুরু করে দেয় চু বাহিনী। আর এটাই ছিল তাদের মস্ত বড় ভুল।
জিন বাহিনীর ঘোড়ার গাড়ির পেছনে থাকা গাছগুলো তখনও ছিল। সেগুলো ধুলাবালুর ওপর দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নেওয়া হচ্ছিল বলে অল্প সময়ের মাঝেই ধুলার কারণে থমকে যেতে বাধ্য হয় ধাওয়াকারী চু বাহিনী।
চু বাহিনী জানতো না যে, তারা জিন বাহিনীর কেবল একটা অংশই দেখেছে। আরেকটা অংশ তখনও তাদের সামনে আসেইনি! অদেখা সেই বাহিনী এই ধুলার সাগরে তাদের ওপর পেছন থেকে চড়াও হয়। চু বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হলে এবার জিনদের পালিয়ে যাবার ভান ধরা সেই বাহিনী আবার তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করে বসে।
এভাবে সবদিক থেকে জিন বাহিনী কর্তৃক ঘেরাও হয়ে যাওয়া চু বাহিনী এরপর আর খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি।
জ্বলন্ত ষাঁড়
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে শত্রুদের হাতে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল চীনের শহর চি-মো। ২৭৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চি-মোর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান তিয়েন তান। তার বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিল মোটে সাত হাজারের মতো। অপরদিকে প্রতিপক্ষের ছিল প্রায় এক লাখের মতো সেনা। তাই, সবদিক থেকেই বেশ খারাপ অবস্থায় ছিল তিয়েন তানের বাহিনী।
শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পেতে এক অভিনব পরিকল্পনা করলেন তিয়েন তান। প্রথমেই প্রায় ১,০০০ ষাঁড় জোগাড় করলেন তিনি। এরপর তাদের গায়ে লাল কাপড় ও শিংয়ে ব্লেড লাগানো হলো। এরপর ঘর ছাওয়ার কাজে ব্যবহৃত নলখাগড়ার শুষ্ক কাণ্ড চর্বিতে ডুবিয়ে সেগুলো সেই ষাঁড়গুলোর লেজে বেঁধে দেওয়া হলো। মাঝরাতে সেই শুষ্ক কাণ্ডগুলোয় আগুন ধরিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলো ষাঁড়গুলোকে।
ওদিকে নগরবাসী মাঝরাতে যুদ্ধের দামামা বাজাতে বসে গেল। রাতের বেলায় এমন বাজনা শুনে ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে অবস্থা খারাপ হওয়ার দশা হলো শত্রুপক্ষের। কারণ তাদের দিকে তখন ছুটে আসছিল ১,০০০ জ্বলন্ত ষাঁড়!
ওদিকে তিয়েন তানের নেতৃত্বাধীন চি-মো বাহিনীও তাদেরকে ঘিরে ফেলছিল আস্তে আস্তে। একদিকে ঘুম থেকে উঠে এমন যুদ্ধের দামামা, তারপর হঠাৎ করে জ্বলন্ত ষাঁড়ের আক্রমণ, আবার সেই সাথে তিয়েন তানের পরিকল্পিত আক্রমণ! এত আক্রমণ আর সামলে উঠতে পারেনি শত্রুরা। তাই রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েই জীবন বাঁচিয়েছিল শত্রুরা।
উই নদীর বাঁধ
সময়টা তখন ২০৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হান জিন বয়সে যেমন ছিলেন তরুণ, তেমনই অভিজ্ঞতাও ছিল তার যৎসামান্য। ওদিকে প্রতিপক্ষ লং জু’র ছিল যুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তর জানাশোনা। হান জিনকে সহজেই হারানোর ব্যাপারে মারাত্মক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন লং জু। আর এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেই তার সবচেয়ে বড় দুর্বলতায় পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন তরুণ হান জিন।
হান জিন ও লং জু’র বাহিনীর মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ছিল উই নদী। উভয় পক্ষই অপর পক্ষের নদী পেরোনোর জন্য অপেক্ষা করছিল। অবশেষে হান জিন নিজের বাহিনীর কিছু লোক পাঠিয়ে বালুর বস্তা দিয়ে নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেন।
এরপরই লং জু’র বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হান জিনের বাহিনী। তবে যুদ্ধ শুরুর অল্প সময়ের মাঝেই পিছু হটার ভান করে হান জিনের বাহিনী। এখানেই আসলে লুকিয়ে ছিল তরুণ হান জিনের মূল কৌশল। তবে সেটা ধরতে পারেননি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী লং জু। হান জিনের বাহিনীকে কাপুরুষ ভেবে তিনি তাদের পেছনে নিজ বাহিনী নিয়ে ধাওয়া করা শুরু করেন।
ওদিকে নদীর অপর পাড়ে পৌঁছেই হান জিন তার চাল চেলে দেন। ভেঙে দেওয়া হয় বাঁধ। স্রোতের তোড়ে ভেসে যায় লং জু’র সেনাদের একটি অংশ, আরেক অংশ আটকা পড়ে যায় নদীর অপর পাড়ে।
লং জু’র দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। কারণ স্বল্পসংখ্যক সৈন্য নিয়ে তিনি আটকা পড়ে গিয়েছিলেন হান জিন যে পাড়ে আছেন সেখানেই। ফলে কিছুক্ষণের মাঝেই তলোয়ারের আঘাতে বেরিয়ে যায় তার প্রাণপাখি।
ঈর্ষান্বিত স্ত্রী
প্রতিটি যুদ্ধেই জিয়ংনু বাহিনীর কাছে কচুকাটা হতে হচ্ছিল হান সাম্রাজ্যকে। এভাবে একসময় আসলো ১৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। হান সম্রাট পিছু হটে আশ্রয় নিলেন পিংচেং শহরে। তবে সেখানেও তার পিছু পিছু এলো জিয়ংনু বাহিনী। এসেই শহরের সঙ্গে বাইরের দুনিয়ার যোগাযোগের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিলেন তারা। ফলে পিংচেং শহরের অধিবাসীরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে লাগলেন।
ওদিকে শহরের ভেতরে রাজা তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে নিয়মিতই এ থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। এমন সময় অদ্ভুত এক আইডিয়া দেন রাজার পরামর্শক চেন পিং। তার সেই পরামর্শ রাজাকে যুদ্ধক্ষেত্রের জয় এনে না দিলেও শত্রুর অবরোধের হাত থেকে মুক্তির আলো দেখাচ্ছিল।
এ লক্ষ্যে চেন পিং এক চিত্রকরকে ডেকে আনালেন। তারপর সেই চিত্রকরকে দিয়ে তার সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অসাধারণ সুন্দর এক নারীর ছবি আঁকিয়ে নিলেন তিনি। এরপর সেই ছবি তিনি পাঠিয়ে দিলেন জিয়ংনু বাহিনীর কমান্ডারের স্ত্রীর কাছে। এর সাথে ছিল একটি নোট। এতে লেখা ছিল- আমার সম্রাট আপনার স্বামীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে ইচ্ছুক। এজন্য উপহার হিসেবে তিনি চীনের অন্যতম সুন্দরী এ রমণীকে তার উপপত্নী হিসেবে দিতে চান।
ভালোবাসার আবার ভাগাভাগি হয় নাকি? ছবির সুন্দরী সেই নারীকে দেখে ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে গেলেন কমান্ডারের স্ত্রীর মন। রাগে নোটটি ছিঁড়ে ফেললেন তিনি। এরপরই ছুটে গেলেন কমান্ডারের কাছে। দাবি জানালেন, যত দ্রুত সম্ভব এ অবরোধ তুলে বাড়ি ফিরে যাওয়ার! অবশেষে স্ত্রীর দাবির কাছে মাথা নত করে পরদিন সকালেই অবরোধ তুলে নিয়ে চলে যেতে দেখা যায় জিয়ংনু বাহিনীকে!
খড়কুটোর তীর
তখন ৭৫৫ খ্রিস্টাব্দের সময়কাল। য়িন জিকির নেতৃত্বাধীন বাহিনী ছুটে চললো ট্যাং সাম্রাজ্যে আক্রমণ করতে। সুদক্ষ ও কৌশলী এ সেনানায়ককে বেশ শ্রদ্ধা করতো তার সেনাবাহিনী। এ তথ্যটি জানা ছিল ট্যাং বাহিনীরও। তাদের জেনারেল ঝ্যাং জুন বুঝতে পেরেছিলেন যে, শুধুমাত্র যদি য়িন জিকিকে হত্যা করা যায়, তাহলেই শত্রু বাহিনীর মনোবলে চিঁড় ধরিয়ে দেওয়া সম্ভব।
তবে সমস্যা বাঁধলো অন্য জায়গায়। য়িন জিকি দেখতে কেমন সেটাই জানতেন না ঝ্যাং জুন। তাই বিচিত্র এক ফাঁদ পাতলেন তিনি। প্রথমেই তিনি তার তীরন্দাজ বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন নিজেদের আসল তীরের পরিবর্তে খড়কুটো দিয়ে বানানো তীর ব্যবহার করতে। জেনারেলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলো তীরন্দাজরা।
য়িন জিকির বাহিনী এসে যখন দেখলো যে, তাদের দিকে খড়কুটোর তৈরি তীর ছুটে আসছে, তখন তারা বুঝতে পারলেন যে অস্ত্রভাণ্ডার ফুরিয়ে এসেছে প্রতিপক্ষের। তারা এই খবর জানাতে ছুটে গেল য়িন জিকির কাছে। আর এভাবেই য়িন জিকিকে দূর থেকে চিনে নিলেন ঝ্যাং জুন!
য়িন জিকি শত্রুকে দুর্বল মনে করে সামনে আগানো অব্যাহত রাখলেন। ওদিকে ঝ্যাং জুন তার বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন প্রতিটি তীর য়িন জিকির দিকে নিক্ষেপ করতে! এবার আসল তীর হাতে তুলে নেয় ট্যাং বাহিনী। অল্প সময়ের মাঝেই একটি তীর য়িন জিকির চোখ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। নিজেদের নেতার এমন মৃত্যুতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে য়িন জিকির বাহিনী। কিছুক্ষণ পরেই যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাতে দেখা যায় তাদের।

Comments

Popular posts from this blog

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এবারের জন্মদিনটি আওয়ামী লীগ জাঁকজমকভাবে পালন করবে না। রোহিঙ্গা ইস্যু এবং পরপর বন্যার কারণে দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে এবারের জন্মদিন আড়ম্বর পরিবেশে হবে না বলে আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ও রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা হবে। এছাড়া সারা দেশের প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে একটি হাসপাতালে গলব্লাডার অপারেশনের পর সেখানকার আবাসস্থলে বিশ্রামে রয়েছেন। সেখানেই তিনি ঘরোয়া পরিবেশে জন্মদিন কাটাবেন। এর আগেও ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতিবছরই শেখ হাসিনার জন্মদিন কাটে দেশের বাইরে। প্...

অবৈধ সম্পর্কের শীর্ষে এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলেই সবাই পশ্চিমা বিশ্বের দিকে ইঙ্গিত করেন। এই ধারণা কিছুটা হলেও ভুল। কারণ বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের শীর্ষে এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। দেশটির ৫৬ শতাংশ বিবাহিত দম্পতিই অবৈধ সম্পর্ক রাখেন। যুক্তরাজ্যের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তালিকার কথা জানিয়েছে। তালিকার শীর্ষ দেশ থাইল্যান্ড হলেও অপর নয়টি দেশ ইউরোপের। শীর্ষ দশে যুক্তরাজ্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে সমীক্ষাটি চালায় দ্য রিচেস্ট ও ম্যাচ ডটকম। সমীক্ষার শীর্ষ দশে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান না হওয়া বিষয়ে রিচেস্ট ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে মানব ক্লোনিং, আত্মহত্যা ও বহুগামিতার চেয়েও খারাপ মনে করেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে একে বলা হয় প্রতারণা। অবৈধ সম্পর্কের তালিকা নিম্নক্রম অনুসারে শীর্ষ দশটি দেশের তালিকা ও তালিকায় স্থান হওয়ার কারণ দেওয়া হলো। ১০. ফিনল্যান্ড : ৩৬ শতাংশ: ২০১০ সালের পর থেকে ফিনল্যান্ডে বিবাহিতদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের হার দ্রুত বাড়ছে। অনেকের মতে, ফিনল্যান্ডে অনেক সময়...

কড়া নিরাপত্তায় নিজামির দেহ পাবনার পথে

দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী কুখ্যাত আল-বদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তাঁদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সাঁথিয়া নেওয়া হচ্ছে।  Click Here রায় কার্যকরের পর রাত ১টা ৩১ মিনিটে নিজামীর মরদেহ ঢাকা থেকে সড়কপথে নেয়া হচ্ছে তাঁর গ্রামের বাড়ি সাঁথিয়ায়। মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুল্যান্সটির আগে-পরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তাবলয়। এর আগে, এই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীকে মঙ্গলবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।   কারাগারের সামনে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে সিনিয়র জেল সুপার বলেন, রাত ১২টা ১ মিনিটেই মতিউর রহমান নিজামীকে ফাাঁসির মঞ্চে তুলে গলায় ফাঁস পরানো হয়। আর এরপর ফাঁসি দিয়ে ঠিক রাত ১২টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হলো সে সময়কার ‘মইত্যা রাজাকার’ নামে পরিচিত নিজামীকে। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন এই নিজামী। একাত্তরের মুক্তি...