Skip to main content

বনধ তুলে নেয়ার ইঙ্গিত দার্জিলিংয়ে

দার্জিলিংয়ে টানা ২১দিন ধরে চলছে বনধ। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে চাল-ডাল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তীব্র সংকট। এমন পরিস্থিতিতে বনধ তুলে নেয়ার আভাস দিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গ।
মঙ্গলবার বিকেলে গুরুঙ্গ জানান, ‘আমরা তো টানা বন্‌ধ চালিয়ে যেতে চাই। কিন্তু, আমাদের সঙ্গে পাহাড়ে যে সব দল রয়েছে, তারা কী বলে, সেটাও ভাবতে হবে। ৬ জুলাই সর্বদল বৈঠকে আলোচনার পরেই সব স্পষ্ট হবে।’
মোর্চা যে অনির্দিষ্টকালের বনধ তুলে নেওয়ার জন্য ঘরে-বাইরে চাপের মধ্যে রয়েছে গুরুঙ্গের কথায় সেটা স্পষ্ট। একে তো পাহাড়ের ভাঁড়ার ক্রমেই খালি হচ্ছে। অন্য দিকে, জিএনএলএফ ও হরকা বাহাদুরের দল ক্রমাগত বন্‌ধ তুলতে চাপ দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, শর্তসাপেক্ষে আলোচনাতেও তারা রাজি।
গুরুঙ্গ বলেন, ‘দিল্লি যাওয়ার বার্তা পেয়েছি। সব খোলসা করে বলছি না। তবে আমাকে আলোচনার জন্য ডাকা হলেও কী নিয়ে আলোচনা হবে, সেটা বলা হয়নি। তাই আপাতত যাব না। কারণ, একমাত্র গোর্খাল্যান্ডের দাবির ব্যাপারে কথা হবে বললেই আমি যাব।’

Comments

Popular posts from this blog

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন আর নেই

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন (৭৭) বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। Click Here ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিহংহ-হালুয়াঘাটের এই আওয়ামী লীগ নেতা কিছুদিন ধরে মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার ভোরে তার মৃত্যুর খবর দেশে আসে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান। গারো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি প্রমোদ মানকিন জাতীয় সংসদে ময়মনিসংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন চার বার।    তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত এই নেতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এক গারো খ্রিস্টান পরিবারে প্রমোদ মানকিনের জন্ম। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে দিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন তিনি। 

রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ ড্যাফোডিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের বিপরীতে সোবহানবাগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ওপর ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলা করে যাচ্ছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। এ হামলা থেকে রোহিঙ্গা শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না; যার কারণে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশে চলে আসছে। বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যা ঘটছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্বরোচিত এ হামলার নিন্দা ও তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা খান, উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপ্যাল রহিমা মির্জা রোজিমেরি প্রমুখ। এছাড়া দ্রুত এ হামলা বন্ধ করে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।