Skip to main content

ওয়ানডে অধিনায়ক নিয়েও ভাবছে বোর্ড



২০১৬ সালেও একবার রব উঠেছিল। আবার থেমে গিয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতে গুঞ্জনের আবহেই টিকে ছিল সেই আলোচনা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ইনজুরির কারণে ২০০৯ সালের পর থেকে টেস্ট খেলেন না মাশরাফি। বাকি থাকে শুধু ওয়ানডে ক্রিকেট। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এবার শুরু হয়েছে ওয়ানডে দলে তার নেতৃত্ব বিষয়ক আলোচনা। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে বেশ সফলভাবেই যে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাশরাফি। প্রশ্ন উঠেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতোই ২০১৯ বিশ্বকাপ ভাবনায় মাশরাফিও সরে দাঁড়াবেন কিনা?

জিম্বাবুয়ের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের জয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাম্প্রতিক এ দুই ম্যাচের কারণে ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সরাসরি খেলাটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছে ক্রিকেটের শীর্ষ দেশগুলো। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।

বিশ্বকাপকে ঘিরে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব নিয়ে ভাবছে বিসিবি। রোববার এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই নাকি টি-২০ দলের নেতৃত্ব থেকে মাশরাফিকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। এখনই স্পষ্ট করে কিছু না বললেও বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ ভাবনায় ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব আলোচনার টেবিলেই রয়েছে।

বিশ্বকাপকে ঘিরে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে রোববার বেক্সিমকো কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘এটা প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে এটা নিয়ে একটা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আপনারা দেখেন টি-২০ অধিনায়কত্ব নিয়ে একটা কথা উঠেছিল। ২০২০ এ মাশরাফি খেলতে পারবে কিনা তা আমরা জানি না। সেজন্য কিন্তু আমরা তখন ওর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছিলাম। তবে ও ঘোষণা নিজ থেকেই দিয়েছে। আমরা বলিনি কবে কখন এটা হবে। আলাপ করার পর সে নিজেই ঘোষণা দিয়েছে। আমরা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছি এটাও তো বিরাট উদাহরণ।’

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭৭ ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটার এখন মাশরাফি ও সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩১ উইকেট শিকারি বোলারও নড়াইল এক্সপ্রেস। একাদশের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ছাড়াও গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার অধিনায়কত্বে ৪৭ ম্যাচে ২৭টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২৯টি জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে মাশরাফির আগে আছেন হাবিবুল বাশার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাশরাফির নেতৃত্বেই। ২০১৪ সালের শেষদিকে দ্বিতীয়বার অধিনায়ক হয়ে দারুণ সাফল্য এনে দিয়েছেন। দেশের মাটিতে টানা ছয় সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে।

টি-২০ ছাড়লেও আরো কিছুদিন ক্রিকেট খেলে যেতে চান মাশরাফি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরও দেশে ফিরে বলেছেন, ক্রিকেটটা উপভোগ করছেন। অবসর নিয়ে এখনই ভাবছেন না।

অবশ্য ৩৩ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার না ভাবলেও তাকে নিয়ে, তার নেতৃত্ব নিয়ে ঠিকই ভাবছে বিসিবি। ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি বিসিবি। তবে তার আগেই বাংলাদেশের অন্যতম ‘জনপ্রিয়’ ক্রিকেটার মাশরাফির ক্যারিয়ারে যদি চিহ্ন আঁকা হয়ে যায় অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

Comments

Popular posts from this blog

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন আর নেই

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন (৭৭) বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। Click Here ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিহংহ-হালুয়াঘাটের এই আওয়ামী লীগ নেতা কিছুদিন ধরে মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার ভোরে তার মৃত্যুর খবর দেশে আসে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান। গারো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি প্রমোদ মানকিন জাতীয় সংসদে ময়মনিসংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন চার বার।    তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত এই নেতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এক গারো খ্রিস্টান পরিবারে প্রমোদ মানকিনের জন্ম। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে দিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন তিনি। 

রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ ড্যাফোডিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের বিপরীতে সোবহানবাগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ওপর ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলা করে যাচ্ছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। এ হামলা থেকে রোহিঙ্গা শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না; যার কারণে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশে চলে আসছে। বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যা ঘটছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্বরোচিত এ হামলার নিন্দা ও তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা খান, উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপ্যাল রহিমা মির্জা রোজিমেরি প্রমুখ। এছাড়া দ্রুত এ হামলা বন্ধ করে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।