প্রয়োজন পড়লে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন কর্মসূচির প্রস্তাব দেবে বলেও তিনি জানান।
বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার কার্যকলাপ কূটনৈতিক সমাধানের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে নিজের ভূখণ্ড ও মিত্রদের রক্ষা করার সামর্থ্য যুক্তরাষ্ট্রের আছে। আমাদের সেই সামর্থ্যের একটি অংশ আমাদের উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তির মধ্যে নিহিত। বাধ্য হলে আমরা অবশ্যই সে শক্তি ব্যবহার করব, যদিও ওই পথে আমরা যেতে চাই না।
উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেশটির বৃহৎ মিত্র চীনকে আরও উদ্যোগী হাওয়ার তাগাদা দেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডানা হোয়াইট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ নিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোমোমি ইনাদার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস।
ওই আলোচনায় ম্যাটিস জাপানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করে প্রয়োজনে সামর্থ্যের পুরোটাই ব্যবহার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই একের পর পরীক্ষা চালিয়ে আসছে নানা নিষেধাজ্ঞায় একপ্রকার একঘরে থাকা এই রাষ্ট্র।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের ২৪১তম স্বাধীনতা দিবসে ওই আইসিবিএম পরীক্ষা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার মত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সামর্থ্য আর্জনের আগেই উত্তর কোরিয়াকে থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়াও। তবে রাশিয়া বলেছে, সেনাবাহিনী ব্যবহারের চিন্তা বাদ দেওয়া উচিত।
Comments
Post a Comment