নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বদলি হয়েছেন পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা। তার অপরাধ এক নেতার মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স দেখতে চেয়েছিলেন। মোটরসাইকেল চালক নেতা মাথায় হেলমেট পরেননি। সে কারণে তিনি চালককে ২০০ টাকা জরিমানা করেছিলেন।
তার অপরাধ তিনি নেতাকে পথে দেরি করিয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া, দুর্ব্যবহার ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নেতাকে জেলেও পাঠিয়েছিলেন। সে কারণে দলের সম্মান রক্ষায় শনিবার দায়িত্ব পালনকারী এক নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তার সঙ্গে অন্য পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকেও অন্যখানে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
২১ জুন ভারতের উত্তর প্রদেশের বুলান্দশহর জেলার সিয়ানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ২১ জুন উত্তর প্রদেশের বুলান্দশহরের সিয়ানা গ্রামে দায়িত্ব পালন করছিলেন নারী পুলিশ কর্মকর্তা শ্রেষ্ঠা ঠাকুর। এসময় এলাকার এক বিজেপি নেতা মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তার মাথায় হেলমেট ছিল না। তা দেখে শ্রেষ্ঠা ঠাকুর ওই নেতাকে দাঁড় করান এবং মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। কাগজপত্র দেখাতে না পরায় এবং হেলমেট ব্যবহার না করায় তিনি ওই নেতাকে ২০০ টাকা জরিমানা করেন। এই নিয়ে বিজেপি নেতা ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হন। একসময় তা উত্তেজনায় পরিণত হয়। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা শ্রেষ্ঠা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং দায়িত্বপালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিজেপির ওই নেতাকে জেলে পাঠিয়ে দেন।
এখবর রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তা শেষ পর্যন্ত প্রশাসন পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে পুলিশ কর্মকর্তা শ্রেষ্ঠা ঠাকুরকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার এ বদলি আদেশ পেয়েছেন শ্রেষ্ঠা।
দায়িত্ব পালনের জন্য ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার প্রশংসা করেছে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানার পর শ্রেষ্ঠার পক্ষে জনমত গড়ে উঠতে শুরু করেছে।
Comments
Post a Comment