রাজধানীর বনানীতে হোটেল ও বাসায় ডেকে তিন তরুণীকে ধর্ষণ মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সাভারে এক নারী মডেলকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন দিনাজপুরের বিরল থানার সৈয়দপুর গ্রামের শফিউল্ল্যার ছেলে মোকাররম হোসেন এবং কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানার সখিপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান। দুইজনই লিজেন্ড কলেজ ভবনের নিরাপত্তাকর্মী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাভার পৌর এলাকার সোবহানবাগ মহল্লার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ের বিপরীত পাশে অবস্থিত লিজেন্ড কলেজের অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই তরুণী জানান, তিনি ও তার এক বান্ধবী উত্তরার মা মিউজিক ভিশনে মডেল হিসেবে কাজ করেন। তিন মাস আগে লিটন মন্ডল নামে একজনের সঙ্গে মোবাইলে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
মডেলিংয়ে অভিনয় করার কথা বলে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ফোন করে লিটন মন্ডল গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে তাকে সাভারে ডেকে আনেন। সাভারে আসার সময় তিনি এক বান্ধবীকে সঙ্গে আনেন। সেখানে আসার পর তাদের লিজেন্ড কলেজের অফিস কক্ষে নিয়ে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখেন লিটন। এর একপর্যায়ে লিটন রাতে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে আসা অপর তরুণীকে অন্য একটি কক্ষে আটকে রাখে লিটনের সহযোগী রেজাউল। রাতভর ধর্ষণের পর দুইজনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ভোররাতে লিটন ও রেজাউল পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী মডেল বিষয়টি পাশে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে জানালে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই ভবনে অভিযান চালায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবনটির দুই নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, আটক দুইজনকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া ভুক্তভোগী তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে।
পরে বিকালের দিকে ওই তরুণী সাভার মডেল থানায় লিটনকে মূল আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলার বিষয়টি জানতে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মহসিনুল কাদিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, বিকালে ধর্ষণ ও মানবপাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। তরুণীর করা অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পর লিজেন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর সবুরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেয়া হলেও পাওয়া যায়নি।
Comments
Post a Comment