ভারতের জলপাইগুড়িতে জীবন বিমা সংস্থার ডেভলপমেন্ট অফিসারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। বারাসতের মনুয়া কাণ্ডের মতোই এক্ষেত্রেও স্বামী খুনে এবার প্রেমিকের দিকেই আঙুল তুলল আটককৃত স্ত্রী।
পুলিশি জেরায় উত্তম মোহন্তের স্ত্রী লিপিকা জানিয়েছে, প্রেমিক অনির্বাণই আমের রসের মধ্যে বিষ মিশিয়ে তার স্বামীকে খুন করেছে।
বৃহস্পতিবার রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় শহরের শিয়ালপাড়ার বাসিন্দা জীবনবিমা সংস্থার ডিও উত্তম মোহন্তর। বিষক্রিয়ায় উত্তমবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত পুলিশ।
ঘটনায় স্ত্রী লিপিকা মোহন্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
সোমবার জেরায় লিপিকা মোহন্ত জানায়, তার স্বামীর সম্পত্তির দিকে নজর ছিল প্রেমিক অনির্বাণ রায়ের। একাধিকবার দু’জনের সম্পর্কের মধ্যে থেকে স্বামী উত্তম মোহন্তকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা অনির্বাণের মুখ থেকেই শুনেছে সে।
লিপিকা মোহন্তর দাবি, সে উত্তম মোহন্তকে খুন করেনি। আমের রসের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অনির্বাণই খুন করেছে বলে দাবি করেছে সে। এমনকী, ঘটনা আড়াল করতে অনির্বাণই আয়ুর্বেদ চিকিৎসককে ডেকে ডেথ সার্টিফিকেট লিখিয়ে দেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিল বলেও জানিয়েছে লিপিকা।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় লিপিকা মোহন্তর পাশাপাশি আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ধনঞ্জয় চতুর্বেদীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান, ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত লিপিকা মোহন্তর প্রেমিক অনির্বাণ রায়ের খোঁজ চলছে। ঘটনায় মদত করার অভিযোগে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককেও খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে আটককৃত লিপিকাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনা সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর সব তথ্য পাওয়া যাবে বলে পুলিশের ধারণা।
Comments
Post a Comment