মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বহু বাংলাদেশি শ্রমিকও আছেন বলে জানা গেছে।
সাময়িক বৈধতার জন্য সরকার ঘোষিত এনফোর্সমেন্ট কার্ডের (ই-কার্ড) জন্য আবেদন করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরই অভিযানে নামে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
ই-কার্ডের আবেদনের সময়সীমা শেষ হয় গত শুক্রবার মধ্যরাতে। এর পরপরই অভিবাসন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলীর নেতৃত্বে শুরু হয় অভিযান। অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ৮৬ কর্মকর্তা মিলে ক্লাং জেলার বাতু ৭ কাপার এলাকায় শ্রমিকদের দুটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালান। সেখানে ২৩৯ বিদেশি শ্রমিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, ১২ নারীসহ ৫১ শ্রমিকের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।
জহর বাহরু নামের অপর একটি এলাকায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ৬৮০ শ্রমিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করে ৩১৫ জনকে আটক করে। কোতা বাহরু এলাকা থেকে আটক করা হয় ১৪৭ শ্রমিককে। এর মধ্যে বাংলাদেশি ১৩২ জন ও পাকিস্তানের ১০ জন। আলোর সেতার এলাকার ২০ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ১৪ জন ও বাংলাদেশের ৫ জন।
মেলাকা এলাকায় ২০৪ জন অভিবাসীর কাগজপত্র পরীক্ষা করে ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। কুয়ান্তান এলাকা থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি। কোতা কিনাবালু এলাকায় ৭০ জনের বেশি বিদেশি শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
অভিবাসন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রতিদিনই অভিযান চালানো হবে। এই ই-কার্ড সাময়িক অনুমোদনপত্র হবে এমন শ্রমিকদের জন্য, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই। আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ই-কার্ডের মেয়াদ থাকবে। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র করে নিতে হবে।
অভিবাসন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রতিদিনই অভিযান চালানো হবে। এই ই-কার্ড সাময়িক অনুমোদনপত্র হবে এমন শ্রমিকদের জন্য, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই। আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ই-কার্ডের মেয়াদ থাকবে। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র করে নিতে হবে।
Comments
Post a Comment