একরাত্রির দৈহিক সম্পর্ক বা অনিচ্ছাকৃত ভুলকে কখনওই পরকীয়া বলা যায় না। বুধবার পরকীয়া বিষয়ক একটি মামলায় এমনই যুগান্তকারী রায় দিয়েছে ভারতের গুজরাট হাইকোর্ট।
আদালতের পর্যবেক্ষণ— কোনও নারী-পুরুষের মধ্যে আকস্মিক দৈহিক সম্পর্ক হয়ে গেলেই তাকে পরকীয়া তকমা দেওয়া ঠিক নয়। বিষয়টিকে `অনিচ্ছাকৃত তাৎক্ষণিক ভুল` হিসেবেই গণ্য করা উচিৎ।
সম্প্রতি গুজরাটের এক নারী স্বামীর কাছ থেকে খরপোষ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তার অভিযোগ— স্বামী তাকে বাড়িতে থাকতে দেন না। তার এক নাবালক সন্তানও রয়েছে। তারও দেখভাল করতে চাইছেন না স্বামী। বিচারপ্রক্রিয়া চলাচালে ওই নারী স্বীকার করেন, তার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। স্বামী ছাড়াও অন্য পুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন একাধিকবার। এমনকি তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালেও পরপুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতের রায় ছিল— নাবালক সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে বাবাকে। তার খরপোষ জোগাতে হবে। কিন্তু স্ত্রীর দেখভাল তিনি না-ও করতে পারেন। কারণ তার স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে।
এই রায় দেওয়ার সময়ই নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল— কোনও নারী বা পুরুষ যদি স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও পুরুষ বা নারীর সঙ্গে তাৎক্ষণিক ভুলে একরাত্রির দৈহিক সম্পর্ক করে থাকেন বা এক দু`বার যৌনমিলন করে থাকেন, তাহলে তাকে ব্যাভিচার বলা যায় না। বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুলও হতে পারে। তাৎক্ষণিক দুর্বলতা হিসেবেই দেখা উচিৎ। কিন্তু বার বার পরপুরুষ বা নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক রেখে চলা কখনওই ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে তা পরকীয়াই। অতএব ওই নারীকে তার স্বামী ইচ্ছে না হলে দেখভাল না-ই করতে পারেন।
এরপরই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই নারী। বুধবার হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখে জানিয়ে দেয়, এক রাতের কোনও `অনিচ্ছাকৃত বা তাৎক্ষণিক দুর্বলতাকে` পরকীয়া বলা যায় না। সূত্র: এই সময়
Comments
Post a Comment